অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করুন সহজেই

অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম ২০২২

সত্যি বলতে, অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা নিয়ে বাস্তব উপায় রয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন এটি করছেও। ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল উদ্যোক্তা, আপনার ল্যাপটপ এবং একটি ভালো ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই আয় করার জন্য চেষ্টা করতে পারেন, এমন প্রচুর ব্যবসায়িক ধারণা রয়েছে৷

তো চলুন জেনে নেই, অনলাইনে কাজ করে আয় করার কিছু দারুন উপায়।


অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম

অনলাইনে কাজ করে কি বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনকাম করা যায়?

অবশ্যই, অনলাইনে চাইলে সহজেই বাংলাদেশ থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে যেহেতু বাংলাদেশ ইন্টারনেটের দিক থেকে পিছিয়ে আছে এবং এখানে বেশিরভাগ মানুষ স্বল্প আয়ের, তাই বিভিন্ন অ্যাডভার্টাইজিং, স্পন্সর অথবা যেকোনো অনলাইন কাজের মাধ্যমে এখান থেকে খুব বেশি ইনকাম হবে না।

যদি বাইরের দেশে অডিয়েন্সদের কোনো সার্ভিস দিতে পারেন, তাহলে সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

অনলাইনে কাজ করে কেন টাকা ইনকাম করবেন?

অনলাইনে যেকোন কাজ করায় কম সময়ে নেয়। এবং বেশ কমফোর্টেবল। আপনি ঘরে বসেই কোন কাজ করে উপার্জন করতে পারছেন। এর জন্য কোথাও যেতে হচ্ছে না। সময় নষ্ট করতে হচ্ছে না।

ঘরের কাজ সেরে অথবা পড়াশোনা করার ফাকে সামান্য কাজ করে ইনকাম করতে পারছেন। তাই অনলাইনে কাজ করা ইনকাম করা বেশ সুবিধা জনক। এজন্য অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।

অনলাইনে কাজ করার মাধ্যমে বিশেষ বিশেষ স্কিল অর্জন করা যায়। যেমনঃ যদি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে কাজ করেন, তাহলে ওয়েব ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, ওয়েবসাইট তৈরি অ্যাপ ডিজাইনসহ, নানা কাজে দক্ষতা অর্জন করা যায়।

তাছাড়া অনলাইনে যে কোন কাজের কোন কোর্স গ্রহণ করে নিলে আপনার স্কিল বাড়বে। যা ভবিষ্যতে খুব বেশি কাজে দিবে।

অনলাইনে কাজ করার মাধ্যমে একই সাথে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। আবার একটু একটু করে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন। ধরেই ইনকাম শুরু হয়ে যায় না। এর জন্য সময় নিতে হবে। কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

অনলাইনে কাজ করে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন?

এই অংশে আমি অনলাইনে বাংলাদেশ থেকে কাজ করার বিভিন্ন উপায় বলে দিচ্ছি। প্রথমত অনলাইনে সহজে ইনকাম করার একমাত্র উপায় হল আর্টিকেল রাইটিং করে আয় করা।

এর জন্য আপনাকে ব্লগিং শিখতে হবে। তাই ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন। বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট পড়তে পারেন ব্লগিং সম্বন্ধে জানতে এবং শিখতে।

তাছাড়াও কিভাবে ইনকাম হয়? কিভাবে নিশ সিলেক্ট করে বেশি ইনকাম করা যায় সবকিছু শিখে নিয়ে ব্লগিং করা শুরু করতে পারবেন।

এটিই একমাত্র অনলাইন ইনকাম করার সবচেয়ে সুবিধা জনক উপায়। বেশ সহজেই বেশি ইনকাম করা যায়।
তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে ইউটিউবিং করা যায়।

বর্তমানে গেমিং সেক্টরের বেশ চাহিদা আছে। তাছাড়াও বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সারদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। সেই থেকে নজর রাখলেও ভালো আয় হবে।

যদি অনলাইনের বিভিন্ন আর্টিকেল গুলো দেখে আপনার মনে হয় যে, আপনিও আর্টিকেল লিখতে পারবেন, তাহলে কিছু আর্টিকেল রাইটিং সাইটে কাজ করতে পারেন।

অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে নজর দিতে হবে?

প্রথমত, কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকা চলবে না। আপনি যেই সার্ভিস দিচ্ছেন বা কাজ করতে চাইছেন, সেখানে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। ধৈর্য রাখতে হবে, যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ধৈর্য হারিয়ে ফেললে বেশি দূর যেতে পারবেন না।

যেহেতু, অনলাইনে কাজ করছেন, কাজেই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। ডাটা নেটওয়ার্ক খরচেও চলবে। একটি অনলাইনে কাজ করার জন্য ডিভাইস থাকলে আরো ভালো হয়।

বিশেষ করে বেশিরভাগ অনলাইনের কাজগুলোই কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। খুব সামান্য কাজ করতে পারবেন মোবাইলের মাধ্যমে।

অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার 8টি উপায়।

এখানে আমি অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় ৮ টি উপায় উল্লেখ করছি। যেমনঃ ড্রপশিপিং, অনলাইন বিজনেস, জরিপ পূরণ অথবা মাল্টি টাস্কিং কাজ করে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়।

1. ড্রপশিপিং শুরু করুন।

আসুন, অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়গুলির মধ্যে একটি দিয়ে আমাদের তালিকাটি শুরু করি। গুগল ট্রেন্ডস অনুসারে , ড্রপশিপিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এটি একটি ব্যবসায়িক ধারণা হিসাবে বেশ শক্তপোক্ত অবস্থানে আছে।

একজন উদ্যোক্তা কীভাবে আট সপ্তাহে $6,667 উপার্জন করেছেন? বা কীভাবে একজন দোকানের মালিক মাত্র একটি পণ্য বিক্রি করে ছয়টি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন সে সম্পর্কে সাফল্যের গল্প সহ , প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। তাই ড্রপশিপিং অনলাইনে অর্থ উপার্জনের একটি আসল উপায়। আপনি যদি ড্রপশিপিং কী তা না জানেন, তাহলে বলছি।

ড্রপশিপিং কী?

ড্রপশিপিং হলো একটি ব্যবসায়িক মডেল, যেখানে আপনি একজন গ্রাহকের কাছে একটি পণ্য বিক্রি করেন, কিন্তু সরবরাহকারী আপনার পক্ষ থেকে আপনার গ্রাহকদের কাছে পণ্যটি সংগ্রহ করে, প্যাকেজ করে এবং পাঠায়।

ধরে নিলাম, আপনার কাছে ভালোই পণ্যের অ্যাক্সেস রয়েছে, যা আপনি আপনার দোকানে যোগ করতে চাইছেন। কিন্তু বিক্রি না হলে, ড্রপশিপিং এর সাথে বিক্রি করতে পারেন।

ড্রপশিপিং অ্যাপ্লিকেশানগুলি আপনাকে আপনার পণ্যের চিত্রগুলি বাছাই করবে। আপনাকে আইটেমের বিবরণ সম্পাদনা করতে হবে। এবং আপনার ব্যবসাকে এমন গন্ডিতে নিয়ে যেতে হবে, যাতে লোকেরা আপনার সাথে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে।

2. ফেসবুক বিজ্ঞাপন দিয়ে আয়।

ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের প্রচার করতে ফেসবুক পণ্য বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্ভাব্য গ্রাহকদের সরাসরি বার্তা (DMs) পাঠায়, বিজ্ঞাপন দেয়।চাহিদা অনুযায়ী পণ্য তৈরি করেন।

আপনার যা ভালো লাগে, তাই বানান। হোক কাগছে তৈরি শৈল্পিক জিনিস অথবা হাতের তৈরি কাজ।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড (POD) হলো অনলাইনে অর্থ উপার্জনের আরেকটি জনপ্রিয় উপায়। অনেক ব্যক্তি এই ব্যবসায়িক মডেল গ্রহণ করেছে কারণ এটি অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় কম ঝুকিপূর্ণ।

3. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিয়ে অর্থ উপার্জন করুন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইনে অর্থ উপার্জনের অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। বছরের পর বছর ধরে, এর জনপ্রিয়তা উপরেই চলে গেছে, কিন্তু এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে উপার্জনের একটি স্থিতিশীল উপায় হিসাবে এখনও অব্যাহত রয়েছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো আপনি শপিফাই , অ্যামাজন , উবার এবং ফ্যাবফিটফান সহ বিভিন্ন সাইটের এফিলিয়েট লিংক পাবেন ৷

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনাকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচার- প্রচারণা করে উপার্জন করতে দেয়। আপনি যদি একজন মার্কেটার হন, আপনি খুচরা পণ্য, সফ্টওয়্যার, অ্যাপ এবং আরও অনেক কিছুর প্রচার করে তার বিক্রয় থেকে কমিশন উপার্জন করতে পারেন।

যদিও সামান্য কমিশন উপার্জন আপনার কাছে ছোট মনে হতে পারে। মনে রাখবেন যে, আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জন্য এফিলিয়েট এর জন্য এপ্রুভাল পেতে পারবেন। এবং একটি মাত্র ব্লগ পোস্টে বেশ কয়েকটি এফিলিয়েট লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন৷

আপনি যদি সত্যিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে অর্থোপার্জন করতে চান, আপনার আসল কাজ হলো বিষয়বস্তুর মার্কেটিং করায় ফোকাস দেয়া। উচ্চ-মানের সামগ্রীর বিবরণ করে বেশ কয়েকটি পেজের একটি ব্লগ তৈরি করে নিন।

আপনার নিজ ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এর সাথে সম্পর্ক ভালো রাখলে, এফিলিয়েট করে ইনকাম ভালো হয়।

4. একটি YouTube চ্যানেল শুরু করুন।

অন্যরা যদি ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারে, তবে আপনিও পারবেন । সবচেয়ে বেশি আয় করা ইউটিউবার হলেন জিমি ডোনাল্ডসন (ওরফে মিস্টারবিস্ট), যিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে উদ্ভট স্টান্ট আপলোড করেন। যা তাকে 2021 সালে $54 মিলিয়ন উপার্জন করতে সাহায্য করে

অন্য আরেকজন বেশি উপার্জনকারী ইউটিউবার হলেন জেক পল, যিনি হাস্যকর প্র্যাঙ্ক ভিডিও শেয়ার করে YouTube এ $45 মিলিয়ন উপার্জন করেছেন।

আপনার YouTube চ্যানেলের যেকোনো একটি নিশে ফোকাস করা উচিত। যাতে আপনি একটি স্ট্যান্ডার্ড, অনুগত দর্শক তৈরি করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি মেকআপ টিউটোরিয়াল নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন, ভিডিও গেম স্ট্রিম করতে পারেন, পণ্যগুলি রিভিউ করে ইনকাম পারেন, ভিডিওতে স্কিল শেখাতে পারেন, প্র্যাঙ্ক ভিডিও তৈরি করতে পারেন, বা অন্য যেকোন কিছুর জন্য, যেখানে আপনার মনে হয় যে যে দর্শক থাকবে।

ইউটিউবে অর্থোপার্জনের সিক্রেট বিষয় হলোঃ লোকেরা চান এমন সামগ্রী তৈরি করা। আপনার ভিডিওগুলি দেখার জন্য লোকেদের প্রলুব্ধ করতে ফানি, আকর্ষণীয় শিরোনাম তৈরি করুন। 

এবং YouTube অনুসন্ধানের জন্য ভিডিও অপ্টিমাইজ করতে আপনার বিবরণে ভালো ভালো কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন৷

একবার আপনি 1,000-সাবস্ক্রাইবার মাইলস্টোন ছুঁয়ে গেলে, আপনি YouTube বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আপনার চ্যানেলে ইনকাম করতে পারবেন।


5. অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিক্রি করুন

অনলাইনে অর্থোপার্জনের সেরা উপায়গুলির মধ্যে একটি হলো কোর্স বিক্রি করা। আপনি যদি কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, তাহলে আপনি অনলাইনে কোর্স তৈরি করে আপনার ধারণা শেয়ার করতে পারেন। আপনি Udemy তে আপনার কোর্স বিক্রি করতে পারেন।

যদি আপনার ইতিমধ্যে আপনার নিজস্ব শ্রোতা থাকে, আপনার নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই কাজটা করতে পারেন। কিছু উদ্যোক্তা অনলাইন কোর্স বিক্রির মাধ্যমে প্রতি মাসে $5,000 এর মতো আয় করে ।


একটি জনপ্রিয় এবং সফল কোর্স তৈরি করতে, আপনার নির্ধারিত টপিকের ট্রেন্ডিং কোর্সগুলি থেকে অনুপ্রেরণা নিন। তারপর, পর্যালোচনা করে দেখেন, লোকেরা কী কী দিকগুলির জন্য প্রশংসা করে? এবং লোকেরা কী ঘৃণা করে?

ইতিমধ্যে যা তৈরি করা হয়েছে, তার চেয়ে আপনি কীভাবে আরও ভাল কিছু তৈরি করতে পারেন? এমন বিষয়বস্তু তৈরিতে ফোকাস করুন যা সকলের অভিযোগ এর সমাধান করে।

আপনি কোন প্ল্যাটফর্মে আপনার কোর্সটি বিক্রি করবেন, তা-ই নির্ধারণ করবে কীভাবে বেশি অর্থ উপার্জন করা যায়।

আপনি যদি Udemy-এ আপনার কোর্স বিক্রি করেন, তাহলে এটি প্রচার করার জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না। আপনার এটি প্রায় সেট হয়ে গেছে।

হয়তো কিছু ব্লগে বা সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কে প্রচার করতে পারেন। যাইহোক, যদি কোর্সটি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে হোস্ট করা হয়, তাহলে আপনি কোর্সটি প্রচার করতে নিজের সাইটেই বিজ্ঞাপন চালাতে চাইতে পারেন।

আপনি বিপণনের জন্য অর্থ খরচের প্রয়োজন ছাড়াই, ভবিষ্যতের কোনো কোর্স প্রচারের জন্য ফলোয়ারদের ইমেল তালিকা তৈরি করতে পারেন।

6. একটি ব্লগ তৈরি করে আয় করা শুরু করুন।

অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য ব্লগিং একটি পুরনো পদ্ধতি। যারা লেখালেখি পছন্দ করেন তারা একটি বিশেষ টপিকে ফোকাস দিয়ে একটি ব্লগ শুরু করেন। উদাহরণস্বরূপ, গাড়ি, ড্রপশিপিং, খেলনা ইত্যাদি সম্পর্কে যেকোনো একটি ব্লগ।

আপনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একটি ব্লগ শুরু করতে পারেন।

আপনি যখন আপনার ব্লগ শুরু করেন, তখন নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের উপর ভালোমতো ফোকাস করুন। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিভাগে কন্টেন্ট প্রসারিত করতে থাকুন। নতুন নতুন টপিকগুলিতে আধিপত্য বিস্তার করুন।

এভাবে আপনাকে সময়ের সাথে সাথে একটি বিশাল ব্লগ তৈরি হবে। মনে রাখবেন যে, সাইটের ডিজাইনটি যেন দর্শকদের উপর একটি ভালো ছাপ তৈরি করতে পারে।

ব্লগিং করে অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনি আপনার পোস্টে এফিলিয়েট লিঙ্ক যোগ করতে পারেন। আপনি আপনার পোস্টগুলিতে ট্রিক্স খাটিয়ে বিজ্ঞাপন স্থাপন করে ব্লগকে আকর্ষণীয় করতে পারেন৷

স্পনসর করা পোস্টগুলি আপনাকে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড থেকে অর্থ উপার্জন করতে সাহায্য করতে পারে। ব্লগাররা তাদের ওয়েবসাইটে ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
 
এছাড়াও আপনি একটি ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করতে একটি ব্লগ ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনাকে স্পিকিং গিগ, টেলিভিশন ডিল, বা ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে বড় চুক্তি পেতে সহায়তা করবে ৷

7. ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন।

অনলাইনে অর্থোপার্জনের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ফ্রিল্যান্স এর কাজ করা। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একজন লেখক, প্রশাসনিক সহকারী, গ্রাফিক ডিজাইনার, শিক্ষক ইত্যাদি হন, আপনি এই দক্ষতাগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

অনলাইনে এমন গ্রাহকদের খুঁজে বের করতে পারেন, যারা আপনার সার্ভিস নিয়ে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে ইচ্ছুক।

উদাহরণস্বরূপ, ফ্রিল্যান্স লেখকরা নির্দিষ্ট অনলাইন রাইটিং জব এর বোর্ডগুলিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে সাধারণ ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট, যেমনঃ Fiverr, Freelancer, Upwork এবং অন্য সবগুলিতেও আবেদন করতে পারেন৷

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে আপনাকে একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও তৈরি করে শুরু করতে হবে। এর অর্থ কিছু স্বনামধন্য মধ্য-স্তরের ব্র্যান্ডের সাথে বিনামূল্যে কাজ শুরু করতে পারেন।


একবার আপনি একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও তৈরি করলে, অনলাইনে সার্ভিস আরও অর্থ উপার্জনের জন্য বড় ক্লায়েন্টদের কাছে পৌঁছাতে পারেন।

মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি সংখ্যার খেলা: আপনি যত বেশি ইউজারদের ইমেল নিয়ে মার্কেটিং করবেন, আপনার প্রতিক্রিয়া ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হবে।

8. একজন লেখক হয়ে যান।

বাংলাদেশে লেখক হয়ে বিকাশে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন সাইট আছে, যেখানে আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়। যেমনঃ অর্ডিনারি আইটি, এখানে আর্টিকেল লিখে মাসে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১২০০০ পর্যন্ত টাকা আয় করা যায়।

তবে, প্রতিদিন ২টির মত আর্টিকেল লিখতে হবে। এবং শুরুতে এখানে একটি পেইড কোর্স সম্পন্ন করতে হবে যেটা অনেকের জন্যই আনকম্ফোর্টেবল। এরকম ওয়েবসাইটের কাজ করতে পারেন।

যেমনঃ কোরা, জে-আইটি, ট্যাকটিউন্স ইত্যাদি। একজন লেখক হিসেবে কাজ করার জন্য আপনাকে আর্টিকেল রাইটিং জানতে হবে। কোনো একটি টপিকে ভালো আর্টিকেল লিখতে হবে। তাছাড়া এসইও করতে, বেশি ট্রাফিক আনার জন্য ভালো ভালো আর্টিকেল লিখতে হবে। কনটেন্টে নতুন নতুন ইনফরমেশন যোগ করে আর্টিকেল লিখতে হবে।

উপসংহার

আজকের ব্লগে কয়েকটি উপায় জানলাম অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করার জন্য। মূলত আরও অসংখ্য উপায় আছে যা আজকে শেয়ার করলাম না। পরবর্তীতে কোন ব্লগে বেশি উপায় গুলো নিয়ে আরেকটি ব্লগ লেখা যাবে। 

যদি ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন। সবাইকে ধন্যবাদ। খোদা হাফেজ।
Rakib

রাকিব "এক্সপার্ট বাংলাদেশ" এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মালিক। সে অবসর সময়ে ব্লগিং ও লেখালেখি করতে ভালোবাসে। তাছাড়াও, অনলাইনে নতুন কিছু শেখা তার প্রধান শখ।

2 Comments

কমেন্ট করার মিনতি করছি। আমরা আপনার কমেন্টকে যথেস্ট মূল্য প্রদান করি। এটি আমাদের সার্ভিসের অংশ।

তবে কোনো ওয়েবসাইট লিংক প্রকাশ না করার অনুরোধ রইল।

Previous Post Next Post