বাটন ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

জাভা মোবাইল/ বাটন ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় কি?

বাটন ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় খুজছেন? আজকে আমরা জানবো বাটন ফোন দিয়ে আয় করার উপায়। আমরা সবাই বাটন ফোন বা জাভা মোবাইল সম্বন্ধে জানি। বাটন মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা মোটেও সহজ না।


বাটন মোবাইল থেকে আয় করার উপায়


জাভা মোবাইল/ বাটন ফোন বলতে কি বুঝায়?

যে সমস্ত ফোনে এন্ড্রয়েড সিস্টেম নেই অর্থাৎ এনালগ সিস্টেম থাকে, যেগুলোতে আপনি চাইলে নতুন নতুন ফিচার পাবেন না। আর যেটায় আমরা চাইলেও এন্ড্রয়েড ভার্সন ব্যবহার করতে পারিনা,  সে সমস্ত ফোনকে আমরা বাটন মোবাইল কিংবা জাবা মোবাইল বলতে পারি। এ সমস্ত মোবাইল শুধুমাত্র সচরাচর কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

অর্থাৎ এই বাটন মোবাইল ব্যবহারে আমরা চাইলে ফোন কল করতে পারি। কিছু কিছু বাটন মোবাইলে বর্তমানে ব্রাউজার আছে। যেগুলো অবশ্যই আধুনিক ফিচারযুক্ত ব্রাউজার নয়। অনেকটাই অ্যানালগ সিস্টেম এর।


এখন অনেকেই এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। যার জন্য বাটন মোবাইলে অনলাইনে আয় করার উপায় খুঁজেন। তো বাটন ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো অনেক ভাবে বলা যেতে পারে। 


আপনি যদি মজা করে কিংবা অবসর সময় কাটানোর জন্য ছোটখাটো আয় করতে চান। তবে বাটন মোবাইলে আয় করার উপায় আমি জানাবো। একইভাবে যদি আপনি একদম লিগ্যাল উপায় ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে চান, তবে আমি সে সম্বন্ধে বলবো। 


প্রথমে আমি বলছি, বাটন মোবাইল দিয়ে মজা করে কিংবা সামান্য রোজগার করার উপায়। তো বাটন মোবাইল দিয়ে আয় করার জন্য দুইটি বাংলাদেশী ওয়েবসাইট আছে। এ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি আয় করতে পারবেন।




বাটন মোবাইল দিয়ে কি আয় করা যায়?

বাটন মোবাইল দিয়ে আসলে আয় করা মোটেও সহজ নয়। অনেক বেশি কষ্ট হয়। আপনি যদি বাটন ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করেন। তবে কিছু ব্যাপারে জানতে হবে। যেমন আপনাকে ধৈর্য সহকারে কিছু পয়সার জন্য আয় করতে হবে। যেহেতু এখানে কোন ব্রাউজারের ফিচার নেই। এখানে ভালো ব্রাউজ করা যায়না। 


যদিও কিছু কিছু বাটন মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন এলাও আছে। তবে ভালোমতো ফিচারযুক্ত নয়। যেহেতু এন্ড্রয়েড ভার্সন নেই, সেহেতু কোনো সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে। এমতাবস্থায় বাটন মোবাইল দিয়ে আপনি কোন পদ্ধতিতে আয় করতে চাইবেন? কোন ধরনের দক্ষতা দেখিয়ে, অর্থাৎ  ব্লগিং করে আয় করার তো প্রশ্নই আসে না।

যেহেতু আজকের ব্লগে বাটন ফোন দিয়ে আয় করার উপায় নিয়ে আমরা  লিখেছি। সেহেতু অবশ্যই আমি আপনাদের উপায় বলবো। এবং অবশ্যই কিছু উপায় আছে। তবে যা অনেক বেশী কষ্টকর।



বাটন ফোন কিংবা জাভা মোবাইল দিয়ে আয় করার উপায় সমূহঃ 

জভা মোবাইল থেকে আয় করার উপায় গুলো উল্লেখ করছি। প্রথমত যদি আপনি অবসর সময়ে মজা করে উপার্জন করতে চান, যেখানে আপনাকে ব্যাপক ধৈর্য ধারণ করতে হবে। উপার্জন খুবই খুবই কম আসবে। তাহলে এর জন্য দুইটি ওয়েবসাইট আছে।


প্রথমটি হলো আমার টিউব



১) amrtube.com থেকে বাটন মোবাইলে আয়ঃ

এ ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় করবেন? আমার টিউব ওয়েবসাইট একটি থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট। এটি অনেকটা পিটিসি সাইটের মত। এখানে আপনি কোন কিছু ক্লিক করে উপার্জন করতে পারেন। ধরুন একটি ব্লগ পোস্টে ক্লিক করলে, এর জন্য আপনাকে 20 পয়েন্ট দিয়ে দেয়া হলো। 


পরবর্তীতে একটি ইউটিউব ভিডিও ওপেন করলে তার জন্য আপনাকে 50 পয়েন্ট দেয়া হবে। কোন একটি ইউটিউব ভিডিওতে লাইক করলে কিংবা সাবস্ক্রাইব করলেও দেয়া হবে। 


বাটন মোবাইলে আমরা জানি যে, কিছু ক্ষেত্রে ইউটিউব চালু করা যায়।  কিন্তু ইউটিউব ভিডিওটি দেখা যায় না। আপনি শুধুমাত্র লাইক এবং সাবস্ক্রাইব করতে পারবেন। আর আমরা সবাই জানি বর্তমান যেসকল বাটন মোবাইল রয়েছে, সেগুলোতে ব্রাউজার আছে। আর ব্রাউজার এমনকি ইন্টারনেট কানেকশনে নেয়া যায়। তবে সেটা অবশ্য অ্যান্ড্রয়েড এর মত করে নয়। ভিন্ন পদ্ধতি।

এই অবস্থায় আপনাকে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যাবহার করতে হবে। আর যদি কোন বাটন মোবাইলে ওয়াইফাই ব্যবহার করার সুযোগ থাকে, তবে আপনি ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না। 


তো এখানে চাইলে, ফেসবুকে গ্রুপ জয়েন করে ফেসবুক পেজ লাইক করে উপার্জন করা যায়। 



কিভাবে উপার্জন করবেন?

এর জন্য আপনাকে পয়েন্ট আয় করতে হবে। এরকম করে আপনাকে 10, 20 করে করে 50 পয়েন্ট করে করে পাঁচ হাজার পয়েন্ট করতে হবে।  আপনি তবে 10 টাকা ফ্লেক্সিলোড পাবেন। মানে হলো আপনি যদি মোট 100 টি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে পারেন, সব মিলিয়ে তবে আপনাকে দেয়া হবে মাত্র 10 টাকা। 


তো বুঝতেই পারলেন কত বড় নিকৃষ্ট একটি ওয়েবসাইট।  তো আপনি জানতে পারলেন তো! বাটন মোবাইলে আয় করার এ উপায় ছেড়ে দিতে পারেন। যদি আপনার ভাল লাগে তবে আয় করতে পারেন। সমস্যা নেই।




২) আর্নিং পয়েন্ট ক্লাব ওয়েবসাইট থেকে আয়

এ ওয়েবসাইটে যেতে আপনি এখানে ক্লিক করুন। এই ওয়েবসাইটে আপনি চাইলে একইভাবে ইউটিউব ভিডিও দেখে, নিউজ পেপার পড়ে কিংবা একটি চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে, ফেসবুক পেজে লাইক করে উপার্জন করতে পারবেন। তাছাড়া এই ওয়েবসাইটে আপনি এড দেখে উপার্জন করতে পারবেন। যেহেতু বাটন মোবাইলে তেমন ভালো গ্রাফিক্স আসেনা। কোনরকমে গ্রাফিক্সই আসো না।


সেহেতু যেসকল লেখার এড গুলো দেখবেন, সেগুলো দেখে নিল আপনাকে পয়েন্ট দেয়া হবে। ১ পয়েন্ট, ২ পয়েন্ট করে যখন আপনি পরিমানমতো 100 পয়েন্ট করবেন, তারপর আপনাকে 20 টাকা! মাত্র 20 টাকা উপার্জন দেয়া হবে। যেটা আপনি অবশ্যই মোবাইল রিচার্জ এ নিতে হবে। 


তো এটাও গেল। কারণ এসব ওয়েবসাইট টাকা দিবে ঠিকই। কিন্তু অনেক বেশি পরিশ্রম করিয়ে তবেই টাকা দিবে। সমস্ত উপায় আমি কখনো সাজেশন করবো না। তবে যদি আপনার ভাল লাগে আমি উপায় টা তুলে ধরলাম। যেহেতু আপনারা অনেকেই জাভা মোবাইল দিয়ে আয় করার উপায় খুঁজছেন? কাজেই সঠিক উপায়টি আমি বলছি। আসল উপায়ঃ



৩) বিকাশ কিংবা নগদে এজেন্ট হয়ে কাজ করুনঃ

এবার আমি একদম লিগ্যাল উপায়টি বলছি। একদম বিশ্বস্ত এবং একটি ব্যবসার উপায়। এ সম্বন্ধে আমরা সবাই কম-বেশি জানি যে জাবা মোবাইল থেকে আয় করার জন্য চাইলে বিকাশ ও নগদ এজেন্ট হওয়া যায়। 



বিকাশ নগদ এজেন্ট হওয়ার জন্য কি করবেন?

আপনি কোন আশ-পাশের বিকাশ কিংবা নগদের দোকান থেকে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। যদি নিজের এনআইডি কার্ড অর্থাৎ ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকে, তাদের কাছে যোগাযোগ করে আপনি বিকাশ এজেন্ট কিংবা নগদ এজেন্ট এ যেতে পারবেন। 

একবার যদি আপনি বিকাশের এজেন্ট এবং নগদ উদ্যোক্তা হয়ে যান, তবে বাটন মোবাইল ব্যবহার করে আপনি সরাসরি ফ্লেক্সিলোড করতে পারবেন। 


ফ্লেক্সিলোড করে আপনাকে কমিশন দেয়া হবে। ধরুন প্রতি হাজারে আপনাকে কমিশন দেয়া হবে। এবং এর মাধ্যমে আপনি যত বেশি ফ্লেক্সি করাবেন তত ভালো উপার্জন করতে পারবেন। এখন আপনারা সবাই জানেন যে যারা ফ্লেক্সিলোড করে, তারা অনেকেই কিংবা বেশিরভাগই বাটন মোবাইল দিয়ে মূলত করে। খুব সহজ শুধুমাত্র নম্বর ডায়াল করে দিলে ফ্লেক্সিলোড হয়ে যায়।


এ জন্য আপনাকে নিজস্ব দোকান দিতে হবে। যাকে বলা হয় বিকাশের দোকান। মোবাইল ব্যবহার করে যখন আপনি বিকাশ এজেন্ট হয়ে ফ্লেক্সিলোড করা শুরু করবেন, পাশাপাশি ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট এসব সার্ভিস দিতে পারবেন। সম্পূর্ণ ব্যবসাটি হয়ে গেল বাটন মোবাইলের মাধ্যমে।


তাতে করে বুঝতে পারলেন, একমাত্র উপায় হল আপনি কোন একটি মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম এর সাথে জড়িয়ে পড়ুন। কিংবা জড়িত থাকুন। এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যদি জড়িত থাকতে পারেন, তবে একদম ভালো পরিমান উপার্জন করতে পারবেন। 


এখন যদি আপনার বয়স 20 বছরের কম হন, অথবা 18 বছরের কম হয়, তাহলে নিশ্চয়ই আপনার জন্য উপায়টি একদম ফালতু। 18 বছরের কম হলে আপনি কোন দোকানে বসতে পারেন না। 


আবার অনেকেই 20 বছরের বয়স হওয়ার পরেও দোকানে বসে কাজ করতে চায়না। এছাড়া আর কোন উপায় নেই। একটি উপায়েই মূলত বাটন মোবাইল ব্যবহার করে উপার্জন করতে পারবেন। যেখানে কোন স্মার্টফোনের প্রয়োজন নেই। বিকাশ করার জন্য আপনার একটি বাটন মোবাইলই যথেষ্ট।




শেষকথাঃ

যারা বারবার গুগলে সার্চ করেন, "বাটন ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়"  কিংবা "জাভা ফোনে কিভাবে আয় করব"। তাদের বলে রাখি, এই সমস্ত মোবাইল থেকে আপনি কোনো অনলাইনে উপার্জন করতে পারেন না। 

যদি করতে পারেন, তাহলে আমি বললামই। খুবই কষ্ট করতে হয়। বাটন মোবাইল বা জাভা মোবাইলে কোন রকমের অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম নেই। বাটন মোবাইল হলেও যদি এখানে কোন এন্ড্রয়েড ভার্সন কিংবা অপারেটিং সিস্টেম চলতো, তবে কোন উপায় ঠিকই হতো।


কিন্তু যেহেতু এটি একটি জাভা মোবাইল, সেহেতু এই অবস্থায় আপনি এখান থেকে শুধুমাত্র ফোন কল কিংবা কিছু জরুরী কাজ করতে পারবেন। আর কোনো কিছুই সার্ভিস দেয়া হয় না। সেই দিক থেকে বলব যে, জাবা মোবাইল থেকে আয় করার উপায় ছেড়ে দিন। আর যদি আয় করতে চান, তবে একমাত্র লিগ্যাল উপায় আমি উপরে উল্লেখ করেছি।


Rakib

রাকিব "এক্সপার্ট বাংলাদেশ" এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মালিক। সে অবসর সময়ে ব্লগিং ও লেখালেখি করতে ভালোবাসে। তাছাড়াও, অনলাইনে নতুন কিছু শেখা তার প্রধান শখ।

Post a Comment

কমেন্ট করার মিনতি করছি। আমরা আপনার কমেন্টকে যথেস্ট মূল্য প্রদান করি। এটি আমাদের সার্ভিসের অংশ।

তবে কোনো ওয়েবসাইট লিংক প্রকাশ না করার অনুরোধ রইল।

Previous Post Next Post