মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সমূহ কি কি?

মেয়েদের ঘরে বসে আয় রোজগার।

আজকের এই ব্লগে মেয়েদের জন্য আয় রোজগার করার 7 টি উপায় উল্লেখ করবো।মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্বন্ধে জানতে পারবেন।

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ হচ্ছে। তার সাথে ছেলে-মেয়ে উভয়ের কর্মসংস্থান বেড়ে উঠছে। এখনকার যুগে মেয়েদের অনলাইনে জব করা কোন ফালানো কথা নয়। ছেলেদের মত করে মেয়েরাও চাইলে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করতে পারে।

এমন অনেক নারী আছেন, যারা পরিবারের সহায়-সম্বল আঁকড়ে ধরতে নিজেরাও উপার্জন করছেন। তারা চাইলে নিজের ফ্রী টাইম কিংবা ওভারটাইমে অনলাইনে জব কিংবা কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। 

বর্তমান সময়ে অর্থনীতিতে সবকিছুর দাম দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবারের অর্থনীতিতে কেবল ছেলেরাই যে ভূমিকা রাখবে তা না। চাইলে মেয়েরাও সে ক্ষেত্রে সমান ভূমিকা রেখে পরিবারের হাল ধরতে পারবে।

মেয়েদের জন্য বর্তমানে অনেক সুযোগ-সুবিধা অ্যাভেলেবল আছে। যেখানে ঘরে বসে উপার্জন করা মোটেও কঠিন কিছু নয়। এছাড়া ঘরে থেকে হাউসহোল্ড পরিবেশে আয় করার ক্ষেত্রে বিশেষ কম্ফোর্ট থাকে।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়


অনলাইনে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

নিচে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়সমূহ ৮টি উল্লেখ করা হলো। এতে করে চাইলে আপনি অনলাইনে নির্দিধায় উপার্জন করতে পারবেন।

1. হাতের তৈরি (হস্তশিল্প) বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে মেয়েদের ঘরে বসে আয়

যদি ঘরে বসে কারিগরি ও নৈপুণ্যে ভরপুর শিল্প ও কাগজের তৈরি শিল্প কিংবা পুতি, ব্রেসলেট তৈরি করতে পারেন। অথবা যেকোনো শৌখিন জিনিস, যেগুলো ঘরবাড়ি ডেকোরেশনের বেশ উপকারী সেগুলো বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে বিভিন্ন হ্যান্ড টুলস কিংবা ঘর সজ্জিত করার জিনিসপত্র বেশ সুপরিচিত। এসব পণ্যের মার্কেটিং হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট।

নিজে একটি ফেসবুক পেজ খুলে নিন। সেখানে বিভিন্ন কারুকাজ, শিল্পমন্ডিত হস্তশিল্প তুলে ধরুন। যাতে করে অডিয়েন্স আকৃষ্ট হতে পারে। পরবর্তীতে সেটা অনলাইনে বেচাকেনা জন্য অডিয়েন্স তৈরি করতে পারেন।

আপনি চাইলে বিভিন্ন খেলনা তৈরি করতে পারেন। বিভিন্ন চিত্র আঁকতে পারেন, সেগুলো দিয়ে হাতে তৈরি জিনিসপত্র তৈরি করতে পারেন। অনেকটা হ্যান্ড ক্রাফট এর মত। 

যা ঘরে টাঙিয়ে রাখা যায়। আবার ছোট ছোট খেলনা জিনিসপত্র বানানোর দক্ষতা থাকলেও নিমিষেই ভালো বর্জন করা যেতে পারে।

বিভিন্ন হ্যান্ডক্রাফটেড জিনিসপত্র বিক্রি করার জন্য Etsy, ArtFire, Amazon এর মতো ভালো ভালো ওয়েবসাইট আছে।

অনলাইন মার্কেটে যখন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নিতে পারবেন, পরবর্তীতে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। সেখানে এডভার্টাইসিং করে ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন। এমনকি নিজস্ব ছোট ছোট কর্মচারী রেখে বড় পরিসরে উপার্জন শুরু করে দিতে পারবেন।

নিজস্ব কাজ প্রমোট করার জন্য সবচেয়ে ভালো সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। নিজে একটি ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট, এমনকি টুইটার একাউন্ট থাকলে সবচেয়ে ভালো হবে। 

টার্গেট অর্ডিন্যান্স সংগ্রহ করতে কাজের প্রমোট করা খুবই জরুরি। এভাবে চাইলে হস্তশিল্প তৈরি করে মেয়েরা সহজেই ঘরে বসে আয় করতে পারে।

Tanya Mitta নামের 19 বছর বয়সী একজন কিশোরী আছে। যে কিনা মাসে তিন থেকে চার লাখ উপার্জন করে শুধুমাত্র তার হ্যান্ড ক্রাফট বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে। 

তার জন্য সে তার কেবল ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ব্যবহার করে। ইনস্টাগ্রামের সুন্দর সুন্দর ফটো তুলে আপলোড করে এবং অডিয়েন্সদের টার্গেট করে।

এমনকি অডিয়েন্সদের আকর্ষণ করে। এতে করে তার তৈরি হ্যান্ডক্রাফটেড জিনিসের মূল্য যথেষ্ট। মেয়েটি কোন ওয়েবসাইট কিংবা মার্কেটিং পদ্ধতি অবলম্বন করছে না। 

শুধুমাত্র নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজ এ খুব সাদাসিধে ভাবে নিজের কাজ করে যাচ্ছে। এটি মেয়দের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলোএ মধ্যে অন্যতম।

পরবর্তীতে আছে শিপিং চার্জ। অর্থাৎ হ্যান্ড ক্রাফট পণ্যগুলো ডেলিভারি দেয়ার চার্জ। এ নিয়ে ভাবার দরকার নাই। যেহেতু বাংলাদেশ সেহেতু ডেলিভারি নিয়ে তেমন একটা ভাবতে হবেনা। 

বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে ডেলিভারি করে দিতে পারবেন। তাছাড়া শিপিংয়ের জন্য অতিরিক্ত চার্জ করা যেতে পারে।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়-সমূহ সম্বন্ধে জানুন।

2. রানা-বান্নার রেসিপি দেখিয়ে ভ্লগিং করে আয় রোজগার

ইউটিউবে রান্না বান্না নিয়ে তৈরি চ্যানেলের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। রান্নাবান্না করা মেয়েদের সহজাত প্রবৃত্তি। অপরদিকে ইউটিউবিং করে মেয়েদের রান্নাবান্না করার রেসিপি তৈরি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

যদি আপনি স্বভাবতই রান্নাবান্না করতেন না জানেন, তবে কয়েকটি ইংরেজি রেসিপি সাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবারের রেসিপি দেখে নিতে পারেন।

প্রায়ই আমাদের ঘরে বিভিন্ন রকমের রেসিপি ও ব্যাতিক্রমি খাবার রান্না বান্না হয়। সেগুলোর সামান্য ভিডিও যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরেন। সহজ ভাবে তুলে ধরতে পারেন। তবে সেখান থেকে ভালো ফলোয়ার এবং ভিউ আসবে।

পরবর্তীতে ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোডিং করা যেতে পারে। এবং এতে সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যেহেতু রেসিপি ও রান্না-বান্নার বিষয়, কাজেই পরিষ্কার পরিছন্নতা এবং সুন্দর কথাবার্তা প্রয়োজন। এছাড়া নতুন নতুন বিভিন্ন স্বাদের রেসিপি ইউটিউবে তুলে ধরতে পারলে ব্যাপক ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার আসে।

বাংলাদেশী ইউটিউবার কিচেন বাই উম্মে নামক ইউটিউব চ্যানেলটি মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অর্জন করেছে কেবলমাত্র রেসিপির ভিডিও দেখিয়ে।

কেবল খাবারের রান্না বানায় ভিতরে ব্যাপারটিকে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত না। বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড কিংবা ঐতিহ্যবাহী খাবারের রিভিউ দিয়ে, সেগুলোর স্বাদ টেস্ট করে ভিডিও আপলোড করা যায়। রিভিউ দান করার মাধ্যমে উপার্জন করা যায়। এজন্য একটি ব্লগ লেখালেখি করা যেতে পারে।

কিংবা ইউটিউবে এ বিষয়ে ভিডিও আপলোড করেও উপার্জন করা যাবে। এজন্য আপনাকে এ ব্যাপারে একটি ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবং সেখান থেকে নিয়মিত ভিজিটর আসলে উপার্জন করা যায়। মেয়েদের জন্য ব্যাপারটি খুবই সহজ হয়, যদি আগে থেকে রান্নাবান্না সম্বন্ধে আগ্রহ থাকে তবে।

3. ব্লগিং রেসিপি লিখে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়।

পরবর্তীতে আছে রান্নাবান্না নিয়ে ব্লগিং রেসিপি। ব্লগ সাইট অনেক বেশি জনপ্রিয়। এসব ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র বিভিন্ন খাবারের রেসিপি উল্লেখ করা যেতে পারে। 

সে ব্লগে যদি ভালোমতো এসইও করা যায়, তবে তা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্গানিক ভিজিটর নেয়া যায়।

সে অর্গানিক ভিজিটর ব্যবহারে এডসেন্স এড মনিটাইজেশন করে উপার্জন করা যায়। একইভাবে বিভিন্ন ধরনের বাংলাদেশ কোম্পানির খাবারের পণ্য স্পন্সর করে উপার্জন করার সুযোগ থাকে।

4. একজন ফ্রীল্যান্স রাইটার হয়ে ঘরে বসে আয় করুন।

লেখালেখিতে বিশেষ দক্ষতা থাকলে। কিংবা ভালো লিখতে জানলে। কোন একটি বিষয় গুছিয়ে সাজিয়ে উপস্থাপন করতে জানলে। ব্লগিং কিংবা ফ্রিল্যান্সিং লেখালেখি করে উপার্জন করা যায়।

এজন্য নিজস্ব ব্লগে লেখালেখি করতে পারেন। অথবা ফ্রিল্যান্সিংয়ের রাইটার হিসেবে কাজ করে উপার্জন করা যায়। 

যদি আপনি ফাইবার এবং ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট বিশেষ করে আপওয়ার্ক এবং guru.com এ প্রবেশ করেন, তবে নিশ্চয়ই দেখবেন বিভিন্ন মহিলা কিংবা ফিমেল রাইটার আছে। যারা ছেলেদের মতো করে ব্যাপক উপার্জন করছে।

আর্টিকেল রাইটিং এ মেয়েদের আলাদা প্রতিভা আছে। বিভিন্ন ব্লগে ও ওয়েবসাইটগুলোতে যেটা লক্ষ্য করা যায়। লেখালেখিতে বিশেষ আগ্রহ থাকলে, ফ্রীলান্স রাইটিং কে নিজের প্রফেশন হিসেবেও নিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে যদি সফল হতে পারেন, তবে আপনার ক্যারিয়ার গঠন হয়ে যাবে অনেক সোজা।

ফ্রিল্যান্সাররা অনলাইনে লেখালেখি করে মাসিক লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছেন। ইংরেজি অথবা বাংলা উভয় ভাষাতেই লেখালেখি করার সুযোগ আছে।

চাইলে কিছু ম্যাগাজিন অথবা নিউজপেপার সাইটে লেখালেখি করতে পারেন। গেস্ট ব্লগিং করে ও আর্টিকেল লেখালেখিতে উপার্জন আছে। 

ভালো নিউজপেপার সাইটে একটি আর্টিকেল এর বিনিময়ে 500 টাকা দেয়। তাদের দেওয়া উপার্জন আরও বাড়তে থাকে, যতই কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখেন।

স্বাস্থ্য, রেসিপি, নারী স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর সৌন্দর্য রক্ষা এসব নিয়ে লেখালেখি করা যায়। যেগুলো কম্ফোর্টেবল নিশ। তাছাড়া চাইলে অন্য ব্লগিং ক্যাটাগরিতে যদি আগ্রহ থাকে সেখান থেকেও উপার্জন করা যাবে। 

তাছাড়া ফাইন্যান্স, স্বাস্থ্যরক্ষা এসব ওয়েবসাইটে কিংবা ইন্ডাস্ট্রিতে রাইটিং স্কিল ভালো থাকলে ব্যাপক উপার্জন করা যাবে।

বলে রাখা ভাল, কোন অথরিটি ওয়েবসাইটে যদি আপনি উপার্জন করতে চান। তবে প্রতি আর্টিকেল ভেদে 5000 টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।

5. ছোটো ছেলেমেয়েদের টিউশন করান।

আপনি চাইলে হোম টিউটর হিসেবে কাজ করতে পারেন। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে, অথবা সর্বোচ্চ নিম্ন মাধ্যমিকের স্টুডেন্টদের কে পড়াতে পারেন। আপনার লোকেশন কোথায়, তার ভিত্তিতে ফেসবুকেও টিউটর ও টিউশন খুঁজে নেয়া সম্ভব।

হোম টিউটর মেয়েদের জন্য অতিরিক্ত আয় করার ভালো উপায়। অফলাইনে এ মাধ্যমে শতভাগ ভালো উপার্জন করা যায়। এর মাধ্যমে ছোট বাচ্চাদের সাথে আপনার সখ্যতা গড়ে উঠবে। 

একইভাবে মনোযোগী কোন বাচ্চাকে যদি টিউশন করাতে পারেন, তবে সেটা উপভোগ করতে পারবেন।

এতে করে আপনার দিনশেষে উপার্জনও আসবে। একইভাবে অতিরিক্ত ওভারটাইম কাজ করে নিলেন। এমন অনেক পিতা-মাতা আছেন, যারা তাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য সময় দিতে পারেন না। 

ছোট ছেলেমেয়েদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিউটর রেখে পড়ানো হয়। সে দিক থেকে মহিলা টিউটরদের ভালো পরিমাণে চাহিদা আছে।

ছেলে-মেয়েদের অবশ্যই একজন প্রাইভেট টিউটরের দরকার পড়ে। এজন্য কোনো বিশেষ দক্ষতা-অভিজ্ঞতা প্রয়োজন পড়ে না। কেননা ছোট ছেলে-মেয়েদের পড়ানোর বিষয়বস্তু খুবই সাদামাটা।

যদিও তাদের পড়াতে গিয়ে বেশ বোরিং এবং অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে। যেহেতু তারা ছোট, সেহেতু তাদের পড়াটা বুঝে ওঠা অনেক কষ্টদায়ক হতে পারে।

এর জন্য যেমন তেমন কোন জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। আপনি যদি যেকোনো ডিগ্রী-হোল্ডার বা গ্রেজুয়েট হন, তাহলেই হবে। এতে করে আপনি খুব সহজে টিউশন পেয়ে যাবেন। 

ভালো কোনো টিউশন নিতে চাইলে পাড়ায় মার্কেটিং করতে পারেন। যেমন নিজে একটি পোস্টার বানিয়ে সেখানে বিভিন্ন দেয়ালে টানিয়ে দিতে পারেন।

বিশেষ করে আপনার এলাকার আশেপাশে দিতে পারেন। যদি এলাকার আশেপাশে কোনো টিউশন সম্বন্ধে আপনি খোঁজ খবর না রাখেন তবে। 

সেখানে আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ সেটি উল্লেখ করতে পারেন। বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে। যেমনঃ মাধ্যমিক ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে পোস্টার টানিয়ে দক্ষতা তুলে ধরা প্রয়োজন আছে।

শহরাঞ্চলের প্রাইভেট টিউটর মাসিক ২ থেকে ৩ জনকে পড়িয়ে 15 হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারে। তবে গ্রামাঞ্চল বা মফস্বল এলাকার ক্ষেত্রে সেটা সম্পূর্ণ উল্টো। 

আপনি একটি প্রাইভেট পড়িয়ে টিউশন করিয়ে জনপ্রতি সর্বোচ্চ 1500 টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। সে দিক থেকে টিউশন করানোর মাঝেও ভেদাভেদ আছে।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়ঃ অনলাইনে টিউশন।

এখন বলি অনলাইন টিউশন সম্বন্ধে। অনলাইনে টিউশন করানোর জন্য কোন বিষয়ে পড়ানোর জন্য বেশ কিছু ওয়েবসাইট ও প্লাটফর্ম গড়ে উঠেছে। যেমন VIPKid নামক একটি ইংরেজী লার্নিং প্ল্যাটফর্ম আছে।

সেখানে আপনি কোন বিষয়ে কোর্স করাতে পারবেন। ইংরেজি বিষয়ে এ কিভাবে ইংরেজিতে অনলাইনে ক্লাস নিতে পারবেন। 

আপনার ক্লাসের যোগদান করার পরিবর্তে সকলকে পেমেন্ট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। অনলাইনে কাজ করতে পারবেন। আপনার জ্ঞানের অংশীদার হবে আর আপনার অনলাইনে উপার্জন হবে খুব বেশি।

পড়ুনঃ

5. মেক-আপ ও প্রসাধনীর কাজ করে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

আপনি কি মেয়েদের বিউটি কিংবা সৌন্দর্য রক্ষার কাজ জানেন? অথবা মেকআপ ও প্রসাধনী সামগ্রী নিয়ে কোনো কোর্স সম্পন্ন করেছেন? যদি এমনটা হয়, তবে এটিকে আপনার অতিরিক্ত আয় করার একটি অপশন হিসেবে রাখতে পারেন।

বিউটি পার্লারে কাজ করা মেয়েরা ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারে অন্যান্য দেশের মতো। বাংলাদেশের মেয়েরা মেকআপ, সৌন্দর্যবর্ধন এবং প্রসাধনের জন্য বিভিন্ন বিউটি পার্লার এর শরণাপন্ন হয়।

এক্ষেত্রে বিউটি পার্লার থেকে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। কোন ধরনের ফর্মাল ট্রেনিং থাকলে, বিশেষ করে বিউটি পার্লার ট্রেনিং থাকলে প্রথমত নিজে একটি বিউটি পার্লার খুলে ফেলা যায়।

দ্বিতীয়তঃ সেখানে কাজ করা যায় । বিভিন্ন পার্লারে কর্মী থাকে তারাও একই হারে ভালো পরিমাণ উপার্জন পায়।

শুনলে অবাক হবেন মেয়েদের বিউটি পার্লারে কাজ নিয়েও অনেক কোর্স আছে। এবং আপনি ইন্টারনেট একটু ঘাটলেই পেয়ে যাবেন। এই জব এর কাজের একটি সুবিধা হলো এর জন্য কোন বড় পরিসরের এলাকার প্রয়োজন নেই।

আপনার লোক্যালিটি কিংবা পাড়া-মহল্লায় একটি বিউটি পার্লার করে দিলে , সেখান থেকে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট ও কাস্টমার আসবে।

এমনকি নিজের ঘরেও আপনি একটি বিউটি পার্লার খুলে ফেলতে পারেন শুধুমাত্র প্রসাধনী সামগ্রী মজুদ রেখে।
কাজের ধনের উপর ভিত্তি করে মূলত একটি বিউটি পার্লা্রে চার্জ করা হয়।

বেশিরভাগ মেয়েরা কোনো বিশেষ উপলক্ষে মেকআপ বা সাজ-সজ্জা করতে বিউটি পার্লারে আসে। অনেকক্ষেত্রে, উপলক্ষে বিশেষে একটি বিউটি পার্লার টাকা চার্জ করা হয়।

একইভাবে কি ধরনের কাজ করা হচ্ছে? তার উপর ভিত্তি করে চার্জ করা হয়। সে হিসেবে পার্লারে আনুমানিক ১০-১৫ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভবর

একটি পার্লারে যে সকল কাজ করা হয়ঃ

• বেশিরপভাগ মেয়েরাই পার্লারে আসে চুল কাটার জন্য। বিভিন্ন আকৃতির চুল কেটে দেয়া হয় ।
• মুখের ত্বক ও শরীরের যত্ন নেয়া হয়।
• বিভিন্ন উপলক্ষ সামনে রেখে মেহেদি লাগানো, সাজ-সজ্জা।

• চুলে রঙ করাঃ সাদা চুল কালো করা, কালো চুল বাদামী কিংবা লালচে করা।
• বিয়ে উপলক্ষে গায়ে হলুদ সাজ কিংবা কনে সাজ সাজানো হয়। ইত্যাদি।

পড়ুনঃ

পার্লার পরিচালনার নিয়মঃ

বিউটি পার্লার পরিচালনার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে ভালো হয়। এগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ

১। সুন্দর ব্যবহারঃ পার্লারে যারা সেবা নিতে আসে, তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করা উচিত। বেশি ভীড় হয়ে গেলে বিনয়ের সাথে তাদেরকে অপেক্ষা করতে বলতে হবে। 

যে আগে আসবে তার কাজটি আগে করতে হবে। অর্থাৎ সিরিয়াল মেনে কাজ করলে ভালো হবে।

২। তালিকা করাঃ পার্লারে যেসব সেবা দেয়া হয়, তার একটি তালিকা করা যেতে পারে। এবং প্রত্যেকটির পাশে চার্জের পরিমাণও উল্লেখ করতে হবে। তাহলে যার যার সাধ্য অনুযায়ী সেবা নিতে পারবে।

৩। যথার্থমূল্য নির্ধারণঃ
এলাকার মানুষের আর্থিক সঙ্গতি ভেদে পার্লারের বিভিন্ন সেবার দামের ও তারতম্য হয়ে থাকে। তবে সব ক্ষেত্রেই দামটি ন্যায্য হতে হবে। অতিরিক্ত লাভ করার মানসিকতা ত্যাগ করলে ভালো হয়।

৪। প্রসাধন বিক্রিঃ অনেক সময় পার্লারে ত্বকের যত্নের বা সাজ গোজের জন্য বিভিন্ন প্রসাধনও বিক্রি করা হয়। যারা সেবা নিতে আসে, এখান থেকে তারা সহজেই প্রয়োজনীয় উপকরণ পেতে পারেন।

সতর্কতাঃ পার্লারে সাধারণত ছেলেদের প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। পার্লারের দরজায় তালার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। এবং লোক আসলে আগে পরিচয় জেনে তারপর দরজা খোলা উচিত।

পার্লারে ত্বক ও চুলের যত্নে যে সব প্রসাধন ব্যবহার করা হবে, তা যেন ভালো কোম্পানির মানসম্পন্ন পণ্য হয় । সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

6. জরিপ পূরণ করে আয়ঃ


অনলাইনে অনেক সার্ভে কোম্পানি, এমনকি ওয়েবসাইট আছে। যেখানে জরি পূরণ করে উপার্জন করা যাবে। তার মধ্যে swagbucks, onepoll, mypoint ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। 

বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনি রিওয়ার্ড পয়েন্ট অথবা সরাসরি উপার্জন করতে পারেন। বিভিন্ন সার্ভে কোম্পানিতে থাকলে আপনি প্রতি সপ্তাহে 7 থেকে 15 টি সার্ভে পূরণ করতে পারবেন।

প্রতিটি জরিপে সর্বনিম্ন ১ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 5 ডলার পর্যন্ত উপার্জন করা যায়। প্রতি জরিপে সর্বোচ্চ ২০ ডলার পর্যন্ত উপার্জন করা যায়। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার মতামত ও ব্যবসা প্রোডাক্ট সম্বন্ধে তথ্য জানতে চাইবে।

তার যথাযথ উত্তর ও আপনারা থেকে বিভিন্ন ডাটা সংগ্রহ করে তারা নিজেরা উপকৃত হয়। তাদের মার্কেটপ্লেস সমৃদ্ধ হয়। একইভাবে আপনাকে রিওয়ার্ড দেওয়া হবে এবং আপনার অনলাইনে ইনকাম হবে।

7. অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয়।

ডাটা এন্ট্রি করার জন্য তেমন দক্ষতা বা এক্সপেরিয়েন্স এর প্রয়োজন হয় না। ডাটা এন্ট্রি শব্দটি শুনে বুঝতে পারেন যে কোন ডাটা / তথ্য আপনাকে শুধুমাত্র প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে।

 ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে এর চাহিদা আছে, তবে প্রতিযোগিতাও তেমন বেশি।

আপনি যদি এক্সেল এবং ওয়ার্ডের কাজ ভাল জানেন, তবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি যদি ফ্রীল্যান্সিং জবে বিগিনার হোন তবে সবচেয়ে বেস্ট অপশন হবে। 

সাধারণ ডাটা এন্ট্রি জব থেকে মাসিক ট্রানস্ক্রিপশন উপার্জন করতে পারেন মিনিমাম ১০০ ডলার।

আপনাকে শুধুমাত্র কিছু কম্পিউটার জ্ঞান থাকলেই চলবে। এমএস ওয়ার্ড এর ব্যবহার করার জ্ঞান থাকতে হবে।অনেক রকমের ডাটা এন্ট্রি করার জব আছে। 

যেটা আপনার সাথে সুইট হয় সেটিকেই চয়েজ করে নিন। যার মধ্যে আছে ক্যাপচা পুরন। ক্যাপচা এন্ট্রি সফটওয়্যার থেকে উপার্জন করা যায়।


এর জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট, যেখানে ক্যাপচা এন্ট্রি করা হয় সেখানে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর লগইন করে সরাসরি জব করতে পারেন। ডাটা এন্ট্রি সম্বন্ধে ভালো সাইট জানিতে আমার নিজের ব্লগটি পড়তে পারেন। উপকৃত হবেন।

ডাটা এন্ট্রির জন্য কিছু ফর্ম ফিলিং, ভালো মত টাইপিং জানলেই চলে। ক্যাপচার ক্ষেত্রে বিশেষ করে বিভিন্ন ইমেজে থাকা ওয়ার্ড টাইপ করতে হয়। কপি পেস্ট করার মতো জব। 

আবার কোন ভালো ডাটা এন্ট্রি ওয়েবসাইটে গেলে সেখানে ইমেইল প্রসেসিং, ডাটা ফরমেটিং, প্রফরিডিং, অথবা কপিরাইটিং এর মত জব করা হতে পারে। 

অনলাইনে অনেক কোম্পানি আছে , যারা আপনাকে ডাটা এন্ট্রি জব করার কর্মী হিসেবে যোগদান করতে দিবে।

শেষকথাঃ

আজকে আমরা জানলাম, মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়সমূহ। এসকল উপায় ব্যবহারে অনলাইনে উপার্জন করা মোটেও কঠিন নয়। 

তবে চেস্টা থাকলে আপনিও একজন সাবলম্বী নারীতে পরিণত হতে পারবেন। ব্লগটি পছন্দ হলে, ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে পাশে থাকুন। খোদা-হাফেজ।

আরও পড়ুনঃ
Rakib

রাকিব "এক্সপার্ট বাংলাদেশ" এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মালিক। সে অবসর সময়ে ব্লগিং ও লেখালেখি করতে ভালোবাসে। তাছাড়াও, অনলাইনে নতুন কিছু শেখা তার প্রধান শখ।

Post a Comment

কমেন্ট করার মিনতি করছি। আমরা আপনার কমেন্টকে যথেস্ট মূল্য প্রদান করি। এটি আমাদের সার্ভিসের অংশ।

তবে কোনো ওয়েবসাইট লিংক প্রকাশ না করার অনুরোধ রইল।

Previous Post Next Post