টাকা ইনকাম করার এপস | Taka income korar apps

 
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২১

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ | Taka income korar app

আজকে আলোচনা হবে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ এর ২৩টি অ্যাপ সম্বন্ধে। আজকে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ২৩টি মতো অ্যাপস মেনশন করবো। সেগুলো তে আপনি চাইলে কাজ করে ধনী হয়ে যেতে পারবেন না। 

শুধুমাত্র একটু-আধটু পার্টটাইম কাজ করে মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন আমরা আজকের ব্লগে এরকম ২৩টি ইনকাম অ্যাপ সম্বন্ধে জেনে নেই। টাকা আয় করার apps গুলোতে কাজ করে, অনলাইনে আয় করা যায়।

{tocify} $title={Table of Contents}

একেকটি অ্যাপ এ টাকা ইনকাম করার উপায় একেক ধরনের। আর প্রতিটি অ্যাপ যা আপনার জন্য ভালো হবে সেটি বেছে নিন। কোন একটি নির্দিষ্ট App আপনার পছন্দের হতে পারে। 

সেখানে আয় করার উপায় হয়তো একটু ইউনিক হতে পারে। যদি সে ইউনিক উপায়টি আপনার পছন্দ হয়, তবে সেখানে কাজ করুন। এই সব অ্যাপসগুলো কোনটি কোন কাজের জন্য খ্যাতি আছে, তার বিবরণ দিয়ে একটি লিস্ট বানিয়ে নিলাম। নিচের লিস্টে ভালো করে দেখুন।
  • জরিপ পূরণ করার জন্যঃ Swagbucks
  • টাকা ইনকাম এবং সঞ্চয় করার জন্যঃ Capital One Shopping
  • বিনিয়োগ করার জন্যঃ Robinhood
  • স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিওয়ার্ড জিতে নেওয়ার জন্য: Drop
  • ভালো মূল্যের ছাড় পাওয়ার জন্য: Earny ।
  • ব্যবহার করা জিনিসপত্র ভালো দামে বিক্রি করার জন্য: mercery ।
  • ছোটখাটো টাস্ক পুরন করে ইনকাম করার জন্য Money machine ।

ডিসক্লেইমারঃ

উল্লেকগ্য যে, এখানে বেশিরভাগ এপ থেকে দীর্ঘস্থায়ী বোনাস, ইনকাম নেয়া সম্ভব। তবে এখানে কাজ করে আয় করার জন্য পেইড আইপি এড্রেস অথবা পেইড ভিপিএন ব্যবহার করা লাগতে পারে।

তবে সেটি কিছু কিছু এপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এপগুলোর প্লে স্টোর লিংক আমি টেক্সট আকারে দিয়ে রেখেছি।

ব্রাউজারে কপি করে পেস্ট করলেই সরাসরি প্লে স্টোর ওপেন হয়ে ইন্সটল করার ইন্টারফেস চলে আসবে। কোনো ক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার করে ইন্সিটল করে নিলে সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব। একাধিক এপ্লিকেশন বিশেষ ক্ষেত্রে অনলাইন সুবিধা প্রদান করবে

কিভাবে apps এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়?

এমন অসংখ্য উপায় আছে। যেখানে App ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা যায়। যার মধ্যে কিছু উপায় আমি এখানে শেয়ার করে দিলাম।


ক্যাশব্যাকঃ
এমন অসংখ্য ক্যাশব্যাক App আছে। যেগুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করার সময় ক্যাশব্যাক পাবেন। আমরা অনেকে অনলাইনে কেনাকাটা করি। সেটা আমাজন, দারাজ কিংবা আলিবাবা। 

যেখান থেকেই করি না কেনো, যদি কিছু অ্যাপ এর সাথে কানেক্ট থেকে আমরা কাজ করি। তবে ঐ সকল App ব্যবহার করে বিভিন্ন কুপন কোড নেয়া যায়। সেগুলো দিয়ে আমরা বিভিন্ন অনলাইন শপিংয়ে ভালো ডিসকাউন্ট কিংবা ক্যাশব্যাক পেতে পারি।

এটিও একটি জনপ্রিয় টাকা ইনকাম করার অ্যাপ । Small tasks –ছোট টাস্ক পুরন অনলাইনে আয় করার সুযোগ দিবে।


Larger tasks –


বড় বড় টাস্ক পূরণ। আমরা অনেকেই গিগ সম্বন্ধে জানি। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে গিগ তৈরি করা হয়। আপনার সার্ভিসকে অনলাইন সব শেষে তুলে ধরতে হয়। 

পরবর্তীতে যেসকল লোক আপনার কাছে সার্ভিসের জন্য আসবে, তাদেরকে সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে আয় করা যায়। এরকম বড় বড় টাস্কের মাধ্যমে অনলাইন আর্নিং করা যায়।


Investing –


‘ফরেক্স ট্রেডিং' আমরা জানি না, এরকম হতেই পারেনা। অনলাইনে ইনভেস্ট করার মত অনেক দেশি-বিদেশি সাইট আছে। বেশিরভাগ বিদেশি সাইট গুলোতে ফ্রিতে ইনভেস্ট করার সুযোগ আছে। আর এরকম সাইট সম্বন্ধে আমরা ব্লগে জানব।

কিভাবে টাকা আয় করার apps এর সঠিকতা যাচাই করবেন?

আমার ব্লগে যারা ভিজিটর হিসেবে এসেছেন। তাদের অনেকেই হয়তো ইনভেস্ট করার জন্য App খুজতে এসেছেন। ইনভেস্ট করে আয় করা যায় এমন App এর খোঁজে এসেছেন। 

আবার কেfউ কেউ অনলাইনে ভিডিও দেখে, ব্লগ লিখে কিংবা ছোটখাটো কাজ করে কিভাবে আয় করা যায়? এরকম Apps খোজার জন্য এসেছেন।

আপনি যে কাজ করে আয় করতে সক্ষম, সেগুলো চিহ্নিত করুন। এ সম্পর্কে আমি অনেকগুলো App রিভিউ করবো।প্রতিটি এপের প্লে স্টোর ডাউনলোড লিংক এপটির রিভিউ শেষে দেয়া আছে। 

Click To Download লেখায় ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এখন আমি যেভাবে বলেছি ঠিক সেভাবে কাজ করা শুরু করুন।

দেখবেন ওই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনার অনলাইনে আয় হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় পেমেন্ট মেথড এর ক্ষেত্রে। বেশিরভাগ বিদেশি সাইট পেপাল সমর্থিত। মানে পেপাল কে সমর্থন করে। পেপালেই পেমেন্ট দেয়।

তবে পেপাল ছাড়াও আরো কিছু ইনকাম পেমেন্ট মেথড আছে। যেগুলো বাংলাদেশ থেকে সহজে তৈরি করা যায়। যেমনঃ পেউনার। ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে তৈরি করে ব্যাংক একাউন্টে যুক্ত করে রাখলে চলে। পরবর্তীতে যদি আপনাকে পেমেন্ট দেয়া হয়, সেটা আপনি সঠিক সময়ে ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতে পারে। এরকম কাজ করে আয় করা যায়।

তাহলে চলুন 2022 সালে এসে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস গুলো সম্বন্ধে জেনে নিই।

টাকা ইনকাম করার অ্যাপসমূহঃ টাকা আয় করার apps।

1. Google Opinion Rewards

গুগোল অপিনিয়ন রিওয়ার্ড অ্যাপ সম্বন্ধে আমরা জানিনা তা কোনোভাবেই হতে পারে না। এটি গুগলের নিজস্ব অ্যাপটি। এটি ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই আমেরিকান সার্ভারের একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট লাগবে। যদি আপনি ভিপিএন ব্যবহার করে তৈরি করে নিতে পারেন।

তাহলে সে জিমেইল একাউন্টে ব্যবহার করে অনলাইনে জরিপ পূরণ করে আয় করতে পারবেন। এখানে সময়ে সময় আপনাকে জরিপ পূরণ করার জন্য বলবে। 

 জরিপ পূরণ করে নেয়ার পর, জরিপের পরীক্ষা করে জিমেইল একাউন্টে সরাসরি গুগল প্লে ব্যালেন্স পাঠিয়ে দেবে। এটি একটি ভালো টাকা ইনকাম করা অ্যাপ এর। এটি বাংলাদেশে সহজেই ব্যবহার করা

ডাউনলোড করুন।



2. Robinhood: ফ্রী ইনভেস্ট করার সুযোগ!

Robinhood হলো একটি বিনিয়োগ করার সাইট। যেখানে আমরা 0 ডলার থেকে বিনিয়োগ করা শুরু করতে পারি। অর্থাৎ ফ্রিতে আমরা বিনিয়োগ শুরু করে উপার্জন করতে পারি। শূন্য থেকে বিনিয়োগ শুরু করার পরবর্তীতে যদি আপনি ক্ষতি দেখেন। অথবা আপনার কোনো লাভ না হয়।

তাহলে পরবর্তীতে যদি বিনিয়োগ করতে চান, তবে টাকা এড করে পরের বার বিনিয়োগ করতে হবে। এখানে অন্যান্য ইনভেস্ট করার সাইট বা শেয়ার মার্কেট এর মত কাজ করা যায়। 

এবং যদি আপনার লাভ হয়, অর্থাৎ ফরেক্স ট্রেডিং যেভাবে আমরা করি। একইভাবে এখানে আয় করতে হয়।

এখানে 20 ডলার ইনভেস্ট করার মাধ্যমে গুগলের মত বড় সাইটের ছোটখাটো পার্টনারশিপ নিতে পারেন। কথাটা হাস্যকর দেখালেও, গুগলের কোন একটি কাজ কর্মে সাহায্য করে ইনভেস্ট করতে পারেন। 

যেখানে থেকে লাভ আপনিও পাবেন। এটিও একটি জনপ্রিয় টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

এ সাইটে সাইন আপ করা, অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন করা একদম ফ্রি। এছাড়াও সাইন আপ বোনাস হিসেবে 5 ডলার। সেখান থেকে আপনি ইনভেস্ট শুরু করতে পারবেন।

যদি ইনভেস্ট এর লাভ হয় তবে সে টাকা আপনি উইথড্র দিতে পারবেন। এখানে শেয়ার মার্কেটে স্টক নেয়ার রেঞ্জ হল আড়াই ডলার থেকে শুরু করে 200 ডলার পর্যন্ত।

তবে যেহেতু এটি একটি ইনভেস্ট করার সাইট, সেহেতু এখানে অনেক রিস্ক আছে। আপনার ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতে পারে। আর এমনিতেও এসকল ইনভেস্টমেন্ট সাইট সম্বন্ধে আমার ধারণা অনেকটা কম। তবে বর্তমান পপুলারিটি আর ট্রেন্ডিং এ থাকার কারণে এ সাইটটি আমি এখানে ম্যানশন করলাম।

যদি কারো মনে হয় ইনভেস্ট করার জন্য একটি প্রকৃত সাইট চাচ্ছেন। তবে এটি আপনাকে সাজেস্ট করতে পারি। কারন এখানে প্রচুর সদস্য আছে, যারা প্রতিনিয়ত ইনভেস্ট করে।

Click To Download


3. Swagbucks, সাইন আপ বোনাস ৫ ডলার।

এর আগেও আমি আমার অনেক ব্লগে সোয়াগবাক সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিয়েছি। এটি একটি আমেরিকান কোম্পানি। জরিপ পূরণ করার জন্য টাকা প্রদান করে।

যদি এ সম্বন্ধে ধারণা পেতে চান, তাহলে আমি আপনাকে দুটি ব্লগ পোস্ট সাজেস্ট করতে পারি। চাইলে সেগুলো দেখে আসতে পারেন।

পড়ুনঃ How to download original vidmate apk latest version ?

সোয়াগবাকে মূলত জরিপ পূরণ করে, ভিডিও দেখে, এড দেখে, ওয়েবসাইট ভিজিট করে, ছোটখাটো third-party অফার গ্রহণ করে আয় করা সম্ভব।

Click To Download 

4. MyPoints, বোনাস $10!

MyPoints একটি জনপ্রিয় রিওয়ার্ড সাইট। যেখানে সাইন আপ বোনাস দেয়া হয় প্রায় 10 ডলার।

ডলার যদিও সাইন আপ বোনাস দেয়া হয়। পরবর্তীতে আরো 10 ডলার আয় করার পরে আপনি 20 ডলার উইথড্র নিতে পারবেন গিফট কার্ড নিয়ে। এখানে পয়েন্ট আয় করা যায়।

সে পয়েন্ট গুলো জমিয়ে, তারপর গিফট কার্ড রেডিম করে নেয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে কাজ করা যায়। এবং এই অ্যাপটি আপনার সরাসরি প্লে স্টোরে পেয়ে যাবে। অনলাইনে টাকা ইনকাম করার অ্যাপটি যথেস্ট ভালো।
 
Click To download

5. Worthy Bonds: টাকা ইনকাম করার অ্যাপ।

Worthy Bonds আপনাকে ইনভেস্ট করা টাকার 5 ভাগ প্রতিদিন ফেরত দেবে। এবং সেটা ডলার আপনার যেকোনো সময় ওইটা নিতে পারবেন। এখানে ইনভেস্ট করার মূল্য 10 ডলার।
  এবং সে টাকার পাঁচ ভাগ আপনি সেখান থেকে নিতে পারেন। এবং যদি তিন মাসের ইনভেস্ট করার লাইসেন্স নিতে চান। তবে আপনাকে 10 ডলার আয় করতে হবে।
 
টাকা-আয়-করার-app-worthybonds


Click to download


6. Public

Public একটি সোশ্যাল ইনভেস্ট সাইট। সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মত। যেখানে ইনভেস্ট করা সম্ভব। এখানে নিজের বন্ধুদের কিংবা পার্টনারদের ইনভেস্টমেন্ট একসাথে করে নিয়ে নিজের কোম্পানি দাঁড় করাতে পারবেন।

একাধিক পার্টনারশিপ নিয়ে শুধু ইনভেস্ট করা নয়। বরং একটি ইনভেস্টিং কোম্পানি তৈরি করতে পারেন।

এ সাইটে নিজের ফ্রেন্ডস অর্থাৎ বন্ধুদেরকে রেফার করার মাধ্যমে যে উপার্জন করবেন। তা ইনভেস্ট করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ এখানে ফ্রিতে ইনভেস্ট করা সম্ভব। এটিও একটি জনপ্রিয় টাকা ইনকাম করার অ্যাপ এর সম্বন্ধে জেনে নিন।

এখানে ফ্রিতে স্টক জিতা যায়। মিনিমাম 10 ডলার স্টম থাকলে সেটি ব্যবহার করে ইনভেস্ট করতে পারবেন। এবং সেখান থেকে লাভ হলে সে লাভ নিয়ে নিতে পারেন। যদি রেফার করে এখানে কাজ করতে চান তবে আমি আপনাকে সাজেস্ট করব।

কিন্তু নিজের টাকা ইনভেস্ট করার ইচ্ছা থাকলে ভুলে যান। কারণ এসকল ইনভেস্টমেন্ট সাইটে লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লাভ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।এখানে জরিপ পূরণ, ভিডিও দেখেও ইনকাম করা যায়।

7. Drop

এটি একটি অসাধারণ টাকা ইনকাম করার অ্যাপ। এখানে কাজ না করে আয় করা সম্ভব। এখানে কেবলমাত্র নিজে একটি ক্রেডিট কার্ড কিংবা ব্যাংক একাউন্ট থাকলে সেটি সংযুক্ত করে রাখুন। প্রয়োজনে সেখানে ছোটখাটো জিনিসপত্র কেনা কাটা করতে পারেন।

কিংবা অনলাইনে বিভিন্ন কিছু বুকিং করে রাখতে পারবেন এই অ্যাপটি ব্যবহার করে। পরবর্তীতে আপনার কার্যক্রম, একটিভিটির উপর নির্ভর করে আপনাকে গুগোল গিফট কার্ড রেডিম করে দেয়া হবে। সেটি আপনি ডলার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

8. Acorns, $10 একাউন্ট খোলার বোনাস

Acorns হল আরেকটি ইনভেস্টিং এবং টাকা সঞ্চয় করার সাইট। এখান থেকে টাকা ইনকাম করার একমাত্র উপায় হল ইনভেস্ট করা। প্রথমবার সাইনআপ করলেই আপনাকে 10 ডলার ইনভেস্ট করার জন্য টাকা প্রদান করা হবে। সেখান থেকে ডেমু ইনভেস্ট করতে পারবেন। 
পড়ুনঃ
পরবর্তীতে যখন ইনভেস্ট করবেন, তখন নিজের একাউন্টে টাকা নিতে হবে। তারপর আপনি ইনভেস্ট করতে পারবেন। এখানে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা যত বেশি, ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। 

যদি ফরেক্স ট্রেডিং এর দক্ষতা থাকে, তবে এই সাইটটা আমি সাজেস্ট করতে পারি। কেননা এটি নির্ভুল এবং প্রকৃত ইনভেস্ট সাইট। এখানে বড় বড় কোম্পানি সংযুক্ত আছে। এটিও একটি জনপ্রিয় ইনকাম অ্যাপ

9. Earny

আমরা অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন ভার্চুয়াল ক্রেডিট সেল কিংবা ক্রয় করি। যেমনঃ গেমের কোন ডায়মন্ড টপআপ করলে, সেটি আমরা গুগোল গিফট কার্ড ব্যবহার করে কিংবা নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রয় করি। 

এটি এমন একটি অ্যাপস, যেখানে আপনি যে কোন কিছু ক্রয় করার ক্ষেত্রে আগে থেকে প্ল্যান করে রাখতে পারেন। এবং সেই অ্যাপটি ব্যবহার করে যেকোনো গেইমের ভার্চুয়াল ক্রেডিট ক্রয় করতে পারবেন।

যখন আপনি ক্রয় করবেন, তার কিছু শতাংশ আপনার একাউন্টে এড হয়ে যাবে। সেখান থেকে আপনাকে টাকা ইনকাম করার সুবিধা দিবে। এখানে সর্বোচ্চ 25 ভাগ পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব।

Click To Download

10. Rakuten

এটি আপনাকে ওয়েবসাইট ভিজিটিং, অ্যাড দেখা, প্রোমো কোড কিংবা কুপনের কোড প্রদান করার মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার সুবিধা দিবে।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.ebates&hl=en_IN&gl=US

11. Surveys On the Go

এটা আরেকটি জরিপ পূরণ করার সাইট। যেখানে নিজের একটি প্রোফাইল তৈরি করা লাগে। এবং সে প্রোফাইল ব্যবহার করে জরিপ পূরণ করা যায়। মুভি, টিভি-শো সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা মতামত ব্যক্ত করার মাধ্যমে জরিপগুলো পূরণ করতে পারবেন। এভাবেই অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.sotg.surveys&hl=bn&gl=US

12. Capital One Shopping: বোনাস নিয়ে টাকা ইনকাম করুন।

এটি একটি শপিং App। যেখানে আমরা চাইলে শপিং করতে পারি। অথবা অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারি। নিজের টাকা সঞ্চয় করার জন্য আপনি চাইলেই App টি ব্যবহার করতে পারেন। 

যখন কোন কিছু অনলাইনে কিনে নিবেন। যেমনঃ আমরা দারাজ, অ্যামাজন কিংবা আলি-বাবা এ সকল সাইটে অনলাইনে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনা কাটা করি। 

আর এই App এর সাথে কানেক্ট থাকলে ঐ সকল সাইটে বিভিন্ন ধরনের কুপন কোড ব্যবহার করা সম্ভব। এবং নিজের টাকাগুলা সঞ্চয় করে নেয়া যায়। সেগুলো আমরা নিজের উপার্জনে একটি উপায় হিসেবে নিতে পারি।

এখানে দুটি উপায়ে আয় করা সম্ভব। এখানে ভালো ডিল খুঁজে নেওয়া। এবং সেখানে ভালো সঞ্চয় করে নেওয়া। এমনকি ভালো ডিল বা কোন একটি নির্দিষ্ট পণ্য কেনার মাঝে ভালো রিওয়ার্ড জেতার সম্ভাবনা থাকে।

প্রথম ক্ষেত্রটিতে আপনি টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন। নির্দিষ্ট পণ্য ক্রয় করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন অনলাইন শপ থেকে ডিসকাউন্ট নিতে পারবেন। যেটা বাংলাদেশ সাশ্রয় হয়।
পড়ুনঃ

Capital One Shopping হলো একটি ডাটাবেজ App । যেখানে বিভিন্ন অনলাইন প্রডাক্ট ক্রয় করার দাম, কিংবা বিক্রি করার দাম উল্লেখ করা থাকে। সেখান থেকে বিভিন্ন পণ্যের মধ্যকার পার্থক্য দেখে নিতে পারেন। এবং বিভিন্ন পণ্যের কম্পেয়ার করা কিংবা পণ্যের মূল্য সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে এটি।

দৈনন্দিন ব্যবহারের কারণে আপনাকে অনলাইনে ক্যাশ দিবে সে ক্যাশ গিফট কার্ড কিংবা অ্যামাজন এর মাধ্যমে জিতে নিতে পারেন। আবার কোনো পণ্যের কোড স্ক্যান করার জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যায়।টাকা ইনকাম করার অ্যাপ এর মধ্যে এপটি যথেস্ট ভালো।

এই অ্যাপে আপনাকে অনলাইন শপে কেনাকাটা করার জন্য সাজেস্ট করা হবে। এর মধ্যে যেকোনো একটি অনলাইন শপে কেনাকাটা করলেই আপনি ভালো মূল্যছাড় পাবেন। এবং অনলাইনে আয় করার টাকা সঞ্চয় করার সুযোগ পাবেন।

যদি দৈনন্দিন জীবনে অনলাইনে কেনাকাটা করেন, তাহলে অবশ্যই বলব ইনকাম করার জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করুন। এখানে একটা বিশাল মূল্যছাড় আমরা পেয়ে যেতে পারি।
Click to download 

13. Money Machine

এই অ্যাপটি অন্যান্য জরিপ পূরণ করার App এর মতই। মূলত জরিপ পূরণ করে আয় করা যায় বেশি। তবে ভিডিও দেখে, ছোটখাটো অফার পূরণ করে এখানে টাকা ইনকাম করা যায়।

যখন কোন একটি অফার পূরণ করে নিবে, তখন সাথে সাথে আপনাকে জানানো হবে। এবং পরবর্তীতে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট জমা হয়ে গেলে পেপাল এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করে নিতে পারবেন। কিভাবে পেপাল একাউন্ট খোলার সম্ভব তার সম্বন্ধে জ্ঞাত না হলে,নিচের আর্টিকেলটি পড়ে নিবেন।

Click to download 



14. iPoll

এই অ্যাপটি আপনাকে তখনই নোটিফিকেশন দিবে, যখন কোনো একটি জরিপ পূরণ করার জন্য সক্ষম হবেন। সে জরিপ পূরণ করে নিলে সেটা আপনাকে ডলার দেয়া হবে।

আমরা জানি, অনলাইনে জরিপ পূরণ করার জন্য আইপি অ্যাড্রেস থাকা লাগে। পাশাপাশি এই অ্যাপটিতে কয়েক মাস লাগাতার পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু এখানে আপনি শুধুমাত্র করে সাইন আপ করে রাখুন।
 
নিজের প্রোফাইলে সেট করে রাখুন। পরবর্তীতে যখন কোনো জরিপ আপনার প্রোফাইলের সাথে মিল থাকবে, তখন সেটি পূরণ করার জন্য অ্যাপটি আপনার মোবাইলে নোটিফিকেশন পাঠাবে। এবং সেভাবে আয় করা যায়। টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২২ সম্বন্ধে জানুন।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.usamp.mobile&hl=en_GB

15. Sweatcoin

অনলাইনে অ্যাকটিভিটি দেখে আপনাকে ডিজিটাল ক্যাশ দিবে। এই সাইট ডিজিটাল কারেন্সি দিবে। যেটি কেবলমাত্র এখানে ব্যবহার করা সম্ভব। আপনার অনলাইনে অ্যাক্টিভিটি, কতবার লগইন করেন, কাজ করেন, কিংবা বিভিন্ন ভিডিও দেখা সেগুলো হিসাব অনুযায়ী আপনাকে নির্দিষ্ট কারেন্সি দিবে। সেখানে অনলাইন শপিং করে আয় করা যায়।

Click to download 


16. Foap: টাকা আয় করার apps এর অন্যতম

আপনি কি ফটোগ্রাফিংয়ে যথেষ্ট দক্ষ? আপনার কাছে কি ভালো ভালো ফটো কালেকশন আছে? তবে আমি সাজেস্ট করতে পারি। এই অ্যাপে সাইনআপ করা ফ্রী। এখানে আপনার যেকোনো ফটো ভালো মূল্যে ক্রয় করে নেয়া হবে। 

এবং সেটি ব্যক্তিগতভাবে বা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাছে বিক্রি করা হবে। যদি ভালো ফটো কালেকশন থাকে। যদি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ফটো কালেকশন থাকে। তাহলে সেগুলো বিক্রয় করে নিতে পারেন। 

সেগুলো করে অনেকেই এখানে লাভবান হবে। একইভাবে আপনিও সে ফটো বিক্রি দাম নিয়ে নিজের একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.foap.android&hl=bn&gl=US


17. Mercari

আপনার ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্র কিংবা ইলেকট্রনিক্স-সামগ্রী বিক্রি করা যায়। প্রতিটি বিক্রি করা শেষ হলে সাইটকে শুধু মাত্র 5 ভাগ কমিশন দিতে হবে।

18. Task Rabbit

এ সাইটে বিভিন্ন টাস্ক পুরন করে আয় করা সম্ভব। অনলাইনে ভিডিও দেখে, এড দেখে কিংবা জরিপ পূরণ করে আয় করা সম্ভব। নির্দিষ্ট পরিমাণে আয় হয়ে গেলে আপনি সেটিনিজের একাউন্টে নিতে পারেন।

 Click to download 

19. Snapwire

এটি আরেকটি , যেখানে স্মার্টফোনের ফটো শেয়ার করার মাধ্যমে আয় করা যায়। ফটো শেয়ার কিংবা বিভিন্ন লেখালেখি করলে আপনার ইনকাম হবে। এবং পরবর্তীতে আপনার আয়ের পরিমাণ বাড়বে। এভাবে আপনি এখানে টাকা ইনকাম করতে পারেন।


20. Checkout 51

ফ্রিতে কুপন এমনকি ক্যাশব্যাক দেয়া হয়। বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী কালেক্ট করার জন্য সবচেয়ে ভালো। এখান থেকে বিভিন্ন অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ভালোমতো ছাড়া নেয়া যায়। এবং সেখান থেকে টাকা সঞ্চয় করা যায়।
Click to download


21. Gigwalk

বিভিন্ন গিগ তৈরি করা। কিংবা শেয়ার করে বা বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে এখানে আয় করা সম্ভব। যদি আপনার সার্ভিস কেউ গ্রহণ করে, তবে সেখান থেকে আপনাকে এর মূল্য দিবে।
Click to download 

22. Upwork

আমরা সবাই এ সম্বন্ধে ভালো করে জানি। এটি একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এখানে ওয়েব ডিজাইন, ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন জব, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, সোশ্যাল ম্যানেজার এরকম নানা কাজ পাওয়া যায়। সেগুলো করার মাধ্যমে অনলাইনে আয় করা যায়।
Click To Download


23. Lucktastic

এখানে ফ্রি স্ক্র্যাচ তৈরী, অনলাইনে গেম খেলে আয় করা যায়। ম্যাগাজিন সাবস্ক্রাইব করা যায়। বিভিন্ন ইংরেজি ম্যাগাজিন,পত্রিকা পড়ে ইনকাম করা যায়। এই আপটি বাংলাদেশে ব্যবহার করা যায়।


>স্ক্যাম থেকে দূরে থাকুন!

দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, অনলাইনে এমন অনেক স্ক্যাম সাইট আছে। যেগুলোতে অসংখ্য স্ক্যামার চলাফেরা করে। স্ক্যাম সাইটের অথোর আপনাকে কাজটি করিয়ে পরবর্তীতে আর পেমেন্ট দিবে না। মানে আপনার টাকা সম্পূর্ণ হাসিল করে নেয় কিংবা লুটে নেয়। 

অনলাইনে কোন সাইট সম্বন্ধে না জেনে, কাজ করা শুরু করবেন না। শুধু শুধু পরিশ্রম বৃথা করবেন না। বরং আগে এ সম্বন্ধে জানুন। যাচাই করুন। তারপর কাজ করবেন। 

আমি যে সকল এ্যাপলিকেশন আপনাদের বলেছি, সেগুলোর রিভিউ অনেক ভালো।এবং প্রচুর ইউজার প্রতিদিন কাজ করে।

  এবং বহু লোক সমর্থিত অ্যাপস।


টাকা ইনকাম করার এপগুলোর অসুবিধাঃ

এর সবচেয়ে অসুবিধা হলো এপগুলো ভিপিএন ব্যবহার করে ব্যবহার করে যেতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ইনকাম করার জন্য চাইবেন পেইড ভিপিএন ব্যবহার করতে। 

এতে ১ বছরব্যাপী সম্পুর্ণ আইপি এড্রেস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এছাড়াও এখানে বাংলাদেশ থেকে ফ্রী ভিপিএন ব্যবহারে দীর্ঘস্থায়ী ইনকাম করা সম্ভব না। আবার যেকোনো সময়ে একাউন্ট ব্যান হওয়ার ঝুকি থাকে।

উপসংহার

আজকে ব্লগে আমরা ২০২২ সালের টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সম্বন্ধে জানলাম। এরকর আরো ব্লগ আমাদের সাইটে আছে। আমাদের সাইটের নামটি জেনে রাখুন। সবসময়ই নতুন নতুন ব্লগ নিয়ে আসছি অনলাইনে আয় করার বিষয়ে। ভালো থাকবেন।

আরও পড়ুনঃ

Rakib

রাকিব "এক্সপার্ট বাংলাদেশ" এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মালিক। সে অবসর সময়ে ব্লগিং ও লেখালেখি করতে ভালোবাসে। তাছাড়াও, অনলাইনে নতুন কিছু শেখা তার প্রধান শখ।

8 Comments

কমেন্ট করার মিনতি করছি। আমরা আপনার কমেন্টকে যথেস্ট মূল্য প্রদান করি। এটি আমাদের সার্ভিসের অংশ।

তবে কোনো ওয়েবসাইট লিংক প্রকাশ না করার অনুরোধ রইল।

  1. Replies
    1. আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?

      Delete
  2. ধন্যবাদ। ওয়েব ইউআরএল প্রকাশ নিষেধ করা হয়েছে। ভালো করে পড়ুন।

    ReplyDelete
  3. আমি ইনভেস্ট করতে চাই এমন একটি এপ দরকার যা মাসে ৫০০০হাজার ইনকাম হলে চলবে,
    কাজ হলো এড,ক্যাপচা পুরন ইত্যাদি

    ReplyDelete
    Replies
    1. তাহলে আপনি কিছু দক্ষতা বা স্কীল অর্জন করে ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে ভালো মতো ইনভেস্ট করতে পারেন। এতে মাসে ৫০০০ নয় বরং ৫০,০০০ টাকাও ইনকাম হবে। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান কমেন্টের জন্য।

      Delete
  4. ভাই আমি গুগল গিফট কার্ড আয় করা যায় এরকম অ্যাপ খুঁজছি ?

    ReplyDelete
    Replies
    1. তাহলে আপনার জন্য App Nana ও Google Opinion Rewards বেস্ট হবে।।

      Delete
  5. অসাধারণ টিপস।

    ReplyDelete
Previous Post Next Post