Digital Marketing সম্বন্ধে জানুন

 “ডিজিটাল মার্কেটিং কি?” এ বিষয়ে তখনই রিসার্চ শুরু করলাম। যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় এর তুমূল জনপ্রিয়তা দেখতে পেলাম। চলুন এ বিষয়ে সুন্দর কতগুলো ধারণা নেই। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মতো জটিল বিষয়টিকে আরো সহজ করি।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

What Is Digital Marketing ?

Digital Marketing এর সংজ্ঞাঃ 

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে প্রোডাক্ট প্রমোশন ও মার্কেটিং করাকে বোঝায়। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির কোন ক্ষেত্রগুলো ব্যবহৃত হয়?

১। মোবাইল ডিভাইস।

২। সোশ্যাল মিডিয়া।

৩। সার্চ ইঞ্জিন।

৫। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল।

৬। ইন্টারনেট।

এখন এর সংজ্ঞা বুঝতে সহজ হবে। উপরে একবার আরো ভালো করে তাকান। এই মাত্র আমি এখানে ব্যবহৃত সরঞ্জাম সম্পর্কে ধারণা দিলাম। এসব ক্ষেত্রগুলোর সফল ব্যবহারে যখন পণ্যের প্রমোশন, মার্কেটিং হবে তখন একে ডিজিটাল মার্কেটিং বলবো। একসময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান ক্ষেত্র ছিল টিভি চ্যানেল। কিন্তু এখন প্রধান মাধ্যম ইন্টারনেটকে বলতে পারি। 

এর কারণ  ডিজিটাল মার্কেটিং তখন স্বার্থক হবে। যখন কাস্টমার প্রচারে উদ্বুদ্ধ হয়ে তা কিনে নেবে। ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে কাস্টমার কোনো প্রোডাক্ট সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পারে। তারপর চাইলে এটা সরাসরি অনলাইনে কিনে নিতে পারে। কিন্তু প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে, টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপন যে কাউকেই বিরক্ত করে। আমি ঠিক বলি নি?

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পুর্ণ নতুন পদ্ধতি। এখানে কাস্টমারের কাছে দুর-দুরান্তে বিজ্ঞাপন প্রচার করা সম্ভব। এমনকি কাস্টমারের ব্যবহার সম্পর্কেও অবহিত হওয়া যায়। কোন পণ্য সম্বন্ধে কাস্টমারের ধারণা কেমন, তাও জানা যায়।    

শিরোনামটি দেখে নিন । আজকে শুধু মাত্র  ডিজিটাল মার্কেটিং ও এর বেসিক জিনিসগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

 ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে পণ্যের প্রচার। এটি একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র। এখানে কাস্টমারদের আকর্ষণ করা হয় ইমেইল, কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া দ্বারা।      


ডিজিটাল মার্কেটিং জানুন

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি নির্দিষ্ট কাস্টমার এর সমারোহকে টার্গেট করে। এর কিছু ধারণা দিচ্ছি। এই যে গুগলে সার্চ করলে আমরা সার্চ রেজাল্ট এড দেখি। এগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর রুপ। এখন একটা মজার ব্যাপার দেখুন। কোনো নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে। তারপর এ রিলেটেড সার্চ রেজাল্ট এড আসে। 


এক্ষেত্রে এখানে কিছু নির্দিষ্ট কাস্টমারের দলকে টার্গেট করাক হয়েছে। আবার জিমেইলে ডুকলেও আমরা এড দেখি। এগুলো ছোটো খাটো ১ লাইনের এড। এটাও কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফসল। প্রমোটেড টুইটও কিন্তু এর-ই অন্তর্ভুক্ত।

 

ইন্টারনেট মার্কেটিং Vs ডিজিটাল মার্কেটিং

আমরা অনেকেই এ দুটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলি। এটা মোটেও ঠিক না। এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। ইন্টারনেট মার্কেটিং কেবল ইন্টারনেটে প্রেফার করা থাকে।  ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ঐ রকম না। এটা মোবাইল ডিভাইস, সাবওয়ে প্ল্যাটফর্মে হয়। আবার ভিডিও গেমেও ডিজিটাল মার্কেটিং হতে পারে। অথবা কোনো মোবাইল এপে।  কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান মাধ্যম ইন্টারনেট। কনফিউজ?


 Digital marketing-য়ে এডভার্টাইজমেন্ট নির্দিষ্ট সোর্স থেকে রেফার করা হয়। এখানে যেসমস্ত সদস্যদের লক্ষ্য করে এড প্রস্তুত করা হয়, তারা Receiver বলে পরিচিত।  এই যে সোর্স এর কথা বললাম। সোর্সগুলো কোনো উচ্চহারে নির্দিষ্ট রিসিভারদের খুজে বের করে।  ডিজিটাল মার্কেটিং এর শাখা গুলোকে তুলে ধরা যাক।

 

১। ওয়েবসাইট মার্কেটিং

 Digital marketing এর সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হলো এই ওয়েবসাইট। এটি খুবই শক্তিশালী। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটিং ক্যাম্পেইন তুলে ধরার জন্য এটি একটি স্পেশাল মাধ্যম। এই ওয়েবসাইটে একটি ব্র্যান্ডকে আকর্ষনীয় ভাবে তুলে ধরা উচিত। যেকোনো একটি সার্ভিসকে খুবই সতেজ ও পরিষ্কার আংগিকে তুলে ধরা উচিত। যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্যের ডিজিটাল মার্কেটিং করাতে চান। তবে এই ওয়েবসাইটটি কে হতে হবে ফাস্ট। আবার মোবাইল ফ্রেন্ডলি এবং সহজে ব্যবহার-উপযোগী করে গড়ে তুলা উচিত।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন

 

২। পিপিসি এডভার্টাইজিং Pay-Per-Click (PPC) Advertising

পিপিসি সম্বন্ধে জানি না এরকম কেউ নেই। পিপিসি এডভার্টাইজিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য খুবই জরুরি। এটি মার্কেটারদের পেইড এডের মধ্য দিয়ে ইন্টারনেট ইউজারদের কাছে পৌছে দেয়।

মার্কেটাররা চাইলে গুগল,বিং লিঙ্কড-ইন,টুইটার,ফেসবুক,পিন্টারেস্ট –এ পিপিসি ক্যাম্পেইন এরেঞ্জ করতে পারে। এবং তাদের এড প্রদর্শন করাতে পারে । প্রোডাক্ট ও সার্চ রিলেটেড নীতি মাথায় রেখে। এখানে মার্কেটার বলতে বোঝাচ্ছি যিনি ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন। বিখ্যাত পিপিসি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে আছে, গুগল এড এবং ফেসবুক এড। আরো 



৩। কন্টেন্ট মার্কেটিং

কন্টেন্ট এর মাধ্যমে যেকোনো প্রচার- প্রচারনাই কন্টেন্ট মার্কেটিং। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম প্রণালী। কন্টেন্ট মার্কেটিং এর অন্যতম লক্ষ্য হলো কন্টেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে কোনো পণ্যের মার্কেটিং করা। এটি ব্লগিংও হতে পারে। এমনকি ইউটিউব ভিডিও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমেও হতে পারে।.নরমালি কোনো কন্টেন্ট ওয়েবসাইটেই পাব্লিস করা হয়। তারপর ঐ কন্টেন্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রমোট করা হয়। আবার সার্চ ইঞ্জিনেও অপটিমাইজ করার চেস্টা চালানো হয়। আবার পিপিসি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমেও এর সফল ব্যবহার করা যেতে পারে।  কন্টেন্ট মার্কেটিং এর টুলের মধ্যে আছে, ব্লগ, ই-বুক, অনলাইন কোর্স, পোডকাস্ট ইত্যাদি।

 


৪। ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইল মার্কেটিং এখনো অনেক কার্যকরী। ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি প্রায়োগিক দিক। অনেকে স্প্যাম ইমেইল ম্যাসেজ নিয়ে কনফিউজে থাকে। স্প্যাম ইমেইল যে হবে, সেটা সকল ক্ষেত্রে সমান না। ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় মেইল ঠিকানা যোগাড় করতে হবে। তারপর ইমেইল মার্কেটিং করা উচিত। ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য অনেক টুল আছে। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আরো জানতে নিচের ব্লগটি পড়ুনঃ



৫। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো। নিজের ব্র্যান্ড সম্পর্কে সকলকে সচেতন রাখা। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্র্যান্ড সম্পর্কে বিশ্বাস গড়ে তুলা। সোশ্যাল মিডিয়া Digital marketing কে একধাপ উপরে নিয়ে গেছে। সরাসরি যেকোনো পণ্যের বিক্রয় সাধন করতে পারেন এই সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই আমি এ নিয়ে ব্লগ লিখেছি। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্বন্ধে জানতে নিচের ব্লগগুলো পড়ে আসুন।

 

৬। এফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে পুরনো রুপ। ইন্টারনেটে এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে নতুন নতুন ধারণা এসেছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে যেকেউ প্রোডাক্ট প্রমোট করে তার থেকে কমিশন নিতে পারে। প্রতিবারই কোনো না কোনো সেল হয়ই। বিভিন্ন প্রসিদ্ধ কোম্পানি, যেমনঃ এমাজনের নির্দিষ্ট এফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে।

 

৭। ভিডিও মার্কেটিং

ইউটিউব বিশ্বের ২য় শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিনে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ইউজার কোনো পণ্য ক্রয় করার আগে তা ইউটিউব থেকে দেখে নেয়। কোনো কিছু জানতে সবাই ইউটিউবের শরণাপন্ন হয়। অথবা কোনো পণ্যের রিভিউ জানতে, কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নিতে সবাই ইউটিউবে-ই যায়।

এখানে আরো অসংখ্য ভিডিও মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম আছে। যেমনঃ ফেসবুক ভিডিও, ইনস্ট্রাগ্রাম, এমনকি টিকটক যেখানে ভিডিও মার্কেটিং ক্যা্মপেইন চলে। আমি খুবই দুঃখিত, টিকটক-কেও এখানে নিয়ে আসলাম।

কোম্পানী সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড ভিডিও মার্কেটিং এ ভালো সফলতা পায়। আবার ফেসবুক এড ক্যাম্পেইনেও ভালো সফলতা পাওয়া সম্ভব।

 

৮। এস-এম-এস ম্যাসেজিং

কোনো কোনো কোম্পানি মোবাইল ম্যাসেজিং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের কাছে তাদের লেটেস্ট আপডেট তুলে ধরে। আবার কোনো ডিসকাউন্ট, বোনাস অফার থাকলে তাও তুলে ধরে। এখন ক্লায়েন্টদের ফোন নম্বর যোগাড় থেকে শুরু করে ম্যাসেজ পাঠানো সমস্ত প্রক্রিয়ায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হতে পারে।


 

ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যালেঞ্জঃ

এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ বা বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। আমি আগেই বলেছিলাম, এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া। এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ চ্যালেঞ্জ আছে। যদি কোনো একটি চ্যানেল বা শাখায় Digital marketing করাতে চান তাহলে সেখানে লাগাতার দেখে যেতে হবে ঐ শাখার মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে।


ধরুন, ভিডিও মার্কেটিং করাবেন। এর জন্য পর্যায়ক্রমে খেয়াল রাখতে হবে কিভাবে কাস্টমার উদ্বুধ হচ্ছে। ঐ একই প্রসেস আপনারা কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও কাজে লাগাবেন। সব একই থাকবে, শুধু প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন। বিভিন্ন প্রোডাক্ট রিসিভার কিভাবে এড ব্যবহার করে সেটি জানাও আবশ্যক।


এমনকি  ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোনো শাখাকে কিভাবে কার্যকর ব্যবহার করতে হয় সে সম্বন্ধেও জানা লাগবে। এ নিয়ে শীঘ্রই আমি ব্লগ লিখব। কাজেই ঘাবড়ানোর দরকার নেই।

যেকোনো রিসিভারের এটেনশন টেনে আনা একটি কঠিন কাজ। কারণ তারা যেকোনো এড, স্পন্সর ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো অভ্যস্ত। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়া জরুরি। তা না হলে এর কোনো কাজ নেই। তাই অনেক সময়ই, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে অর্থ খরচ করার ফল ভালো নাও হতে পারে।

রিয়েল  ডিজিটাল মার্কেটিং এ প্রবেশ করার আগে নিচের নীতি গুলা অনুসরণ করার চেস্টা করুনঃ

 


  • সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জানুন

Digital marketing এর ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগের বেশ প্রয়োজন। সোশ্যাল মিডিয়া প্রোগ্রামের ব্যবহারের মাধ্যমে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে।.


  • Drip ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

Drip marketing –য়ে নির্দিষ্ট সময়ে মার্কেটিং করার পণ্যগুলো  সমান হারে কাস্টমারের কাছে পাঠানো হয়। খুব জটিল না? এ সম্বন্ধে খুব বেশি ধারণা দেয়া সম্ভব না। পরবর্তীতে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আরো আলোচনা হবে। সাথে এটা নিয়ে টিউটোরিয়াল প্রকাশ পাবে, ইনশা-আল্লাহ।


  • Second Screen Advertising

Second screen advertising বলতে বোঝায়কাস্টমারদের স্মার্টফোনের স্ক্রীনে বিজ্ঞাপন চালনা করা। এটা স্মার্টফোন নোটিফিকেশনের মাধ্যমেও হতে পারে।


  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কোম্পানির পণ্যের প্রমোট করার প্রক্রিয়াকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে। এ সম্বন্ধে আমি আগে থেকেই আর্টিকেল লিখে রেখেছি।


 

আমি জানি না, এখান থেকে কতটুকু বুঝেছেন। কোনো জটিল বিষয়কে সহজ ভাবে বোঝানোটাও জটিল। পরিশেষে বলবো, এখানে আমি Digital marketing এর বেসিক জিনিস নিয়েই আলোচনা করলাম। এখানে যত জিনিসপত্র আছে তা আংশিক বুঝিয়ে গেলাম। পরের বার, প্রতিটি ধাপ বিস্তারিত বোঝাবো। তখন এই ডিজিটাল মার্কেটিং বুঝতে সহজ হবে। আমার ব্লগটি পড়বার জন্য অনেক অনেক… ধন্যবাদ। আরো কটা আর্টিকেল পড়ে যাবেন আশা রাখি। আসসালামু-ওয়া-আলাইকুম।


আরও পড়ুনঃ

Post a Comment

কমেন্ট করার মিনতি করছি। আমরা আপনার কমেন্টকে যথেস্ট মূল্য প্রদান করি। এটি আমাদের সার্ভিসের অংশ।

তবে কোনো ওয়েবসাইট লিংক প্রকাশ না করার অনুরোধ রইল।

Previous Post Next Post